সমগ্র সৌরবর্ষের বারিপাত দ্যাখেছি আপনার চোখে
সরীসৃপের সদৃশ খোলসে আবৃত আমি, নিরাকার এক মূষিক;
ঠোঁট আর মরশুমজুড়ে ধূর্ত জ্বলীয়বাষ্পের ভ্রুকুঞ্চনে
পূর্ব গোলার্ধের মহত্তম আত্মহত্যা রুখেছেন—অধরা ভৌমিক!
চৌত্রিশখানা দন্ডাস্তির মতোন পাশাপাশি সজ্জিত আমার দুঃখ,
আপনি নিরন্তর কায়দায় অন্তরে সঁপেছেন পরিমিত ব্যবধান আর প্রণয়ের ভেদাংক।
চুলের অযৌক্তিক দফা-রফায় আবহের পূর্বাভাস নূন্যাধিক রুক্ষ;
ধ্যানের কৌটিল্য-ই স্ফীত কৌটিল্য;তাঁর পরামর্শেই কি গুপ্তহত্যা বাজিয়েছে দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ?
আপনার জিহ্বার কল্যাণে শুনেছি শাদা ইশকের ধ্বনি,
শীর্ষের মধ্যভাগে সিঁথি বেয়ে অতিক্রম সেরেছে—
পারত্রিক বিষুবরেখা।
‘অধরা’ নামক ভূখন্ডেতেই উদয় রচেছে মহাধিক কিম্বার্লি খনি;
সহসা ঘটিছে নবজাত সংস্করণে মুদ্রিত,নাৎসিবাদের সহিত সমতল দ্যাখা!
সমন্বয় শেষে জেনেছি আপনি ছিলেন প্রারম্ভিক মূলধন,
স্বীয় মূর্তিতে খনিজ বিষ ধারণ কোরেও,থুড়ি মেরে ঘৃতকুমারী ফেলছে নশ্বর নিশ্বাস।
সীমান্ত খেলাপে ভগ্নোদ্যম হ’য়ে মরছে নথিপত্রহীন অভিবাসন,
আমার অনিষ্টের যুক্তি আপনি,যেমনটা পম্পেইয়ের বিপর্যয় শান্ত ভিসুভিয়াস!