ধর্মাবতার,
প্রকৃতির এই বিচারালয়ে,
আমার সাথে হওয়া প্রতিটা অন্যায়ের সাক্ষী দিতে কাঠগড়ায় উপস্থিত এই সাক্ষীর নাম অনিরুদ্ধ !
ন্যায়ের রাজদন্ড হাতে ঈশ্বর যেখানে স্বয়ং বিচারক,বিস্তৃত নীল আকাশ যেখানে আমার উকিল-
সেখানে আমি আমি কিছু বলতে চাই!
আমাকে বলার সুযোগ দিন।
ধর্মাবতার,
ফাগুণের লাল শিমুলের দিব্যি কেটে,সাত জন্ম একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো যে নারী
তার বিচার করুন!
অংকে মাত্র তেরো পেয়েছিলাম বলে,যে শিক্ষক স্নেহ দিয়ে কোনোদিন মাথায় বিলি কেঁটে দেয়নি আমার তার বিচার করুন।
ভালো পেস বোলিং করতে না পারায়- যারা আমাকে খেলায় নিলোনা,
দল থেকে বাদ দিয়ে দিলো
তাদের বিচার করুন।
আমি যাকে স্নেহ দিতে গেলাম
হৃদয় দিয়ে আগলে রাখলাম,
যে আমার হৃদয় খুন করে গ্যালো
তার বিচার করুন।
আমি যাদের বন্ধু ভেবে
বিশ্বাস করে গেলাম,
তারা আবার সে বিশ্বাস চড়া দামে বাজারে বেঁচে দেয়।
আমি কি ন্যায়বিচার পাবোনা ধর্মাবতার?
যদি আমি ন্যায়বিচার পাই!
যদি কখনো মাথা তুলে দাড়াতে পারি,
আমি আবার তাদের মুখোমুখি হবো।
আমার ঠোটের কোণে মুচকি হাসি দিয়ে আমার সাথে হওয়া প্রতিটা অন্যায়ের ঋণ শোঁধ করে যাবো!
আমি যাকে মন দিয়েছিলাম
কানাই দাশের কুঞ্জবনে
সে কি মন ছুঁয়েছিলো?
ফিরিয়ে দিলো যাবার ক্ষণে
ওই উড়ে যায় মুনিয়া পাখি –
শুষ্ক ফুলের পরাগ মাখি
হারিয়ে ফেলে পথের দিশা
অন্ধকারের বিভীষিকা!
তবে কে বলেছিলো-
নগ্ন পায়ে সাগর চলো?
এবার নাহয় একটুখানি,
বৃন্দাবনের গল্প বলো!
অর্জুনের দেবদত্ত
প্রেমে কি ভোট ছিলো?
তবে মানতে হবে সব শর্ত!
কথা ছিলো,অধরার তীরে বসে,
কর্ণে পরাবো তারার দুল
সে সব রূপকথা,চাঁদের বুড়ি চরকা কাটে-
চর্তুদশী শুক্লপক্ষ,সবকিছু ভুল।
দুষ্ট গ্রহ অরুন্ধতী,তালের পাতার সেই পাখাটি
এখনো কি কথা শোনায়,
আমার দেয়া শেষ বাঁশিটি?
তবে কি কবিগুরুর কথাই সাত রাজার ধন?
তোমায় নতুন করে পাবো বলে,
হারাই ক্ষণে ক্ষণ!..