ভূমিকা : মাশুদ রাথার জম্মু ও কাশ্মীরের একজন তরুণ কবি। তিনি প্রতিদিনের ঘটনাপ্রবাহকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং সেগুলোর বর্ণ-বিবর্ণতার হাসি-কান্না, আলো-আঁধার, আনন্দ-আর্তনাদ কবিতায় প্রসেস করেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিশৃঙ্খলা ও সম্পদের ধ্বংসাবশেষের গভীরে ডুবেও শান্তির সন্ধান করা যায় এবং বিশ্বাস করেন কবিতার নীরবতাকেও। দ্যা ফ্যালেন চিনার : আই রিফিউজ টু সিঙ্ক তার প্রকাশিত কবিতার বই। ২০১৮ সালে রিপার পাবলিকেশন থেকে ইংরেজি ভাষায় বইটা প্রকাশিত হয়।
সবার আগে-আমি কেনো লিখবো?
কারণ কাগজ এবং আমার সম্পর্ক হলো
তোমার সাথে আমার যেমন সম্পর্ক ছিলো
যেখানে-আমি কাগজ ছিলাম এবং তুমি ছিলে-কলম।
English : Why do I write?
যখন
বিবর্ণতার বসন্তে
বিচ্ছেদের গানে
শরতের বৃষ্টি নামে,
আর বৃষ্টির প্রতিটি শ্লোক
তোমাকে বঞ্চিত করে;
তখন
অশ্রুকে ধারণ করো
তোমার ব্যক্তনামা লিখতে,
আর সমস্ত অশ্রুতে সিক্ত হও
তুমিনামা উচ্চারণ করতে…
English: In the milieu of colorlessness
তিনি এমন একজন উন্মাদ হয়ে উঠেছিলেন, যিনি মুহূর্তের আগে মনের ভেতর ব্যাক্ত বিবৃতিকে পুনর্বার ব্যাক্ত করতেন। এবং ভয়ানকভাবে একটি অদ্ভুত সংকেত অথবা আলোকদর্শনের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করতেন। আর তোমার অন্তর্গত অভিনয় করতেন সেভাবে-যেভাবে অগ্নিশিখার আড়ালে ক্যাসো তোমাকে অভিঘাত করছে’…
English : She had become kind of a person
আশা-নিরাশার
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের
আফসোস-উচ্ছাসের
আর ভালোবাসার
প্রবল ঘূর্ণিপাকে
আমরা ডুবে যাচ্ছি।
প্রেম কি হৃদয়ে প্রবেশের আগে
দরজায় নক করে?
একদম না,
উপলব্দি ছাড়া আমাদের মধ্যে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
English : We got drowned
অনুবাদক : তরুণ সাহিত্যিক। প্রকাশিত বই দুইটা। এক. ওকাবোকা তেলাপোকা (২০১৬) -শিশুতোষ ও এলিয়েনের দেশ পেরিয়ে (২০১৭)-শিশুতোষ।