আমি ইন্ট্রোভার্ট প্রকৃতির হওয়ায় অবরুদ্ধ থাকতেই ভালো লাগে। ঈদের সময়ও খুব একটা বেশি বের হতাম না। কেউ কেউ অবরুদ্ধ থেকেও অন্যের আনন্দ দেখে আনন্দ অনুভব করে, আমিও সেরকম একজন।
যেমন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার আনন্দ, কিশোরদের বোমা কেনার আনন্দ, চানরাতে চান দেখে উল্লাস আর বোমা ফুটানোর আনন্দ, ঈদের দিন নতুন পাঞ্জাবি পরে হাতে টাইগার কিংবা স্পিডের বোতল নিয়ে অযথা ঘোরাঘুরির আনন্দ, প্রেমিক প্রেমিকা কিংবা নবদম্পতির ঘোরাফেরার আনন্দ, তার সাথে কালের সেলফি আনন্দ; সব দেখে আমি আনন্দ পাই। সেটা এবার হয়নি।
ঈদ-উল-ফিতরকে আমার কখনোই শুধু ইসলামের উৎসব মনে হয়নি। ইফতার খাওয়ার মধ্যে যতটা তৃপ্তি, তা সত্যিই অতুলনীয়। আমি শৈশব থেকেই যেটাতে আরও বেশি আনন্দ পেতাম তা হলো, ঈদ উপলক্ষে সিনেমা হলে নতুন সিনেমা দেখতে যাওয়া। যদিও কয়েক বছর থেকে সেটা টিভি দেখেই করি। এ বছর সেটাও হচ্ছে না।
টিভি নস্ট হওয়ায় অবরুদ্ধ সময়ে তা ঠিক করতে না পেরে সব আনন্দ নিরানন্দ পরিণত হয়েছে। যাহোক এ সময়ে সবচেয়ে যেটি বেদনার তা হলো অর্থনৈতিক অবরুদ্ধ। হয়তোবা সামর্থবানরা অবরুদ্ধ হয়েই ঈদ আনন্দ অনুভব করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু যারা অন্যবার খোলা জায়গা থেকে একটি কম দামের শার্ট কিনেও অনেক আনন্দ পেত; তাঁদের জন্য এ ঈদটি সত্যিই অনেক বেদনার!
প্রমথ রায়
কবি, নীলফামারী