সখী,
পুরনো বই ঘাটতে তোমাকে লেখা অনেক পুরনো একটা চিঠি পেলাম। যেটা আর তোমাকে দেয়া হয়নি সেসময়। বইয়ের ভিতর রেখেছিলাম। হয়ত কোন কারণে বইটি আর পড়া হয়নি। তাই সেখানে থেকে গেছে। বুকসেল্ফ ঝাড়তে ফসকে একটা বই পড়ে গিয়েছিল। চিঠিটি সেখানে ছিল। মেলতেই কত কী মনে পড়ল। সেটি রুদ্ধশ্বাসে পড়লাম। কেঁদে কেঁদে লিখেছিলাম বেশ বুঝতে পারছি। সে সময় চিঠিটা তোমার হাতে পড়েনি। সেটাই ভাল হয়েছে। পড়ছি আর আনমনে কত কী ভাবছি। কত কী মনে পড়ছে! পোড়া স্মৃতি সব। জানি না কেমন আছো? নিশ্চয় ভাল আছো।
এই দেখো, আকাশটা ডাকছে। আবারও চোখ দু’টো ভিজছে। আজও সেদিনের মতো অঝোরে আকাশটা ভেঙ্গে ঝড়ুক। আমার চোখ বৃষ্টির আড়ালেই থাকুক।
তোমারও কি বৃষ্টি চাই? না বোধহয়।
ভালো থাকো।
ইতি
সুজন।
সুহৃদ,
তোমাকে ফিরিয়ে দিয়ে মনোকষ্ট আমিও পেয়েছি। বুকে আমারও চিনচিনে ব্যথা। এ ব্যথা অশরীরি। জানি, তোমাকে ফিরিয়ে দেয়া এ আমার অযথা বাড়াবাড়ি। কিন্তু এতটুকু বাড়াবাড়ি আমার সাজে। এ আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে।
তুমি উজার করে কী কী দিতে, আমি জানি।তুমি দিয়ে সুখ খোঁজ, আমি না নিয়ে খুঁজি।বরং সে-ই ভাল না দিয়ে-না নিয়ে যতটা ভাল থাকা যায়। সামান্য দেয়া-নেয়ার হিসেব কষে এত আলো, এত রঙ কেন ফিকে করবে?
দেখো, তোমার চারপাশ বসন্তের আবহ! সবকিছু রঙিন। সর্বত্র কলি, মুকুল, ফুল। ক’দিন পর সব আরও রাঙা হবে। ম ম করবে! কী সব মুখর কলতান! আ হা, কী সব স্বপ্ন রচবে তুমি নতুন সাথী নিয়ে!
তোমার স্বপ্নগুলো সত্যি হোক-এই শুভ কামনা নিরন্তর।
ভাল থাকো।
ইতি
মনপোড়া৷