তাপের সমতা চাই প্রতাপী সূর্যের কাছে আজ;
রক্তের সমতা চাই বুদ্ধিদাতা মস্তিষ্কের কাছে।
আগুন পরশমণি কে বুলাবে ক্রিসমাস দিনে?
তারই সাথে দেখা হোক অজস্র মানবস্রোতে মিলে,
আজকের এই পুণ্য ক্ষণে।
মানুষকে কোনো একটা খেলা খেলতেই হয়!
কতটা আম খেতে পারে একজন,
কতটা কাঁঠাল-কোয়া, তারও আছে কম্পিটিশন।
খেলা আছে হাই-ডিগ্রি ভোল্টেজ আলোয়;
খেলা আছে নীল নীল মৃদু ঝিলমিল;
খেলা আছে মিতালির ও শত্রুতার; তিক্ততার ও মিত্রতার;
টেবিলের ওপর তাসের; নিচের ত্রাসের;
রক্তচোখের কিংবা আর্দ্র চোখের;
উঁচু নাক ও চ্যাপ্টা নাকের।
এমন খেলা কি আছে–একপক্ষ জার্সিওয়ালা, বুটওয়ালা, — প্রতিপক্ষ নগ্নদেহে নগ্ন পায়ে?
এমনও কি খেলা আছে, কাপ আছে, ট্রফি আছে–
গোল্ডেন গ্লাভস্ আছে, ব্যালন ডিঅর আছে
ফিফার অধীন–
যেখানে একটা পক্ষ প্রশিক্ষণে পক্ক কঠিন;
অথচ অপর পক্ষ অর্থাভাবে পায় নাই কোচ?
জার্সি নেই বুট নেই; শরীরে প্রোটিন নেই?
বিচিত্র এ বিশ্বমাঝে সব-ই আছে।
আম আছে জাম আছে নাম আছে।
গ্রাম আছে নদী আছে জল আছে।
শুধুই নদীর জল পান করে বেঁচে-থাকা
তুমুল সাঁতারু আছে, খেলোয়াড় আছে;
মনোবল সম্বল করে জিতে নেয় শ্রেষ্ঠ মেডাল।
মেডাল দু’হাতে তুলে আকাশকে উপহাস করে!
ড্রিবলিং প্রাকটিস করে এই দল বুকের ভেতর,
বল আর ব্লাডার যেইখানে সারাদিন চালায় হাপর।
ওদিকে টিকেট নেই ফ্লাইটের;
পকেট গড়ের মাঠ!
অন্তঃসারশূন্য এই কংকর নগর;
হৃদপিণ্ডশূন্য এই আশ্চর্য শহর–
যেখানে হৃদয় সস্তা, শ্রম সস্তা, মেধাও কখনও
সস্তা দরে বিক্রি হলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই!
হ্যারিকেন তলে, দূরে, বহুদূরে আজও হাসি
হেসে চলে কৃষিমাতা — প্রসন্ন ভরাট!
লক্ষ্মীর আঁচলে আজও চাল ছাড়া আর কিছু নেই।
তাপের সমতা চাই প্রতাপী সূর্যের কাছে আজ;
রক্তের সমতা চাই বুদ্ধিদাতা মস্তিষ্কের কাছে।
আগুন-পরশমণি কে বুলাবে ক্রিসমাস দিনে?
তারই সাথে দেখা হোক অজস্র মানবস্রোতে মিলে,
আজকের এই পুণ্য ক্ষণে।