খুব ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবো। কিন্তু পড়াশোনা এতোই কঠিন লাগলো আর ছাত্রী হিসেবে মোটেই ভালো ছিলাম না তাই সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেল।
তারপর আর একটা স্বপ্ন বুনতাম শিক্ষক হবো।
ইমদাদুল হক মিলনের গল্পগুলো পড়তাম আর নিজেকে তার গল্পের নায়িকা ভাবতাম। কারণ তাঁর গল্পের নায়িকা সারা জীবন একা একা কাটিয়েছে।
আমারও স্বাধ ছিল একজন স্কুল শিক্ষক হবো, হালকা হালকা রংয়ের শাড়ি পড়ে লম্বা চুলে বেনুনী করে ছেড়ে দিয়ে একটা ছাতা হাতে নিয়ে হেঁটে হেঁটে স্কুল যাবো। সব গুণই ছিল আমার মিলনের গল্পের নায়িকা হওয়ার, হতে পারলাম না শুধু স্কুল শিক্ষক।
হয়তো আমার বাবা বুঝতে পেরেছিলেন আমি চাকরি করলে আর কখনো বিয়ে করবো না। তাই তিনি আমার বিয়ের উপর জোর সোর শুরু করেন। হঠাৎ একদিন আমাকে দেখতে এসে আমার বিয়ে হয়ে গেলো। আমিও সব ঝেড়ে ফেলে সংসারে মন দিলাম। হয়ে উঠলাম সংসারী। বছর না ঘুরতেই কোল জুড়ে এলো এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান, আমার খেলার পুতুল।
জীবনে চাওয়া পাওয়াগুলো সব অপূর্ণ রয়ে গেলো।ভালো লাগার মানুষটিকেও কখনও বলা হলো না ভালোবাসি। তার আগেই সে বউ নিয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। তারি বিরহে বিরহীনি হয়ে মিলনের গল্পের নায়িকা হতে চেয়েছিলেম সে আশাতেও বালি।
আজ আমি সব হারিয়ে চেনা অচেনার ভিড়ে খুঁজে ফেরি।