আমি আগন্তুক এসেছি
আমি অদৃশ্য মোহঘোরে ফেঁসেছি
ভেবেছিলাম দু’চোখ দেখেছে-
জগতের সব সুন্দরতা,
তখনো হয় নি দেখা –
মোহনীয় সেই শিল্প গাঁথা৷
সদ্য অঙ্কুরিত চারা গাছ যেমন-
ভোরের শিশির কাটিয়ে
হাওয়ায় নড়ে নড়ে দু’পাঁপড়িতে,
সকালের মোলায়েম রোদে
এই ধরার স্নিগ্ধ রূপ দেখে৷
একই রূপে আমিও দেখেছি সেই নিখুঁত শিল্প,
যেন স্বার্থক হয়েছে দু’চোখের দৃষ্টি,
অতৃপ্ত আত্মা পেয়েছে স্বর্গীয় তুষ্টি।
তুমি জানো না, হয়তো জানবে না
তোমার এই অমরত্বের গল্প,
হয়তো খোঁজনি, হয়তো খুঁজবে না
তোমায় নিয়ে যা হয়েছে রচিত
তার সবই যে অল্প
তোমায় আচ্ছাদিত করেছে তোমার
মহিমান্বিত গাম্ভীর্যতা,
এই ক্ষমতাই ছাপিয়ে দিয়েছে
তোমার দুঃখ-সুখ আর বিষন্নতা।
যেদিন কোন ছোট্ট শিশু
তোমার হাত ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলবে
সেদিন কাটবে তোমার বিনম্র গাম্ভীর্যতা,
খুঁজে পাবে নিজেকে নব্যরূপে
আর নিজেকে হারিয়ে ফেলবে
আরো বেশি মুগ্ধতায়
এই চোখ দু’টো স্বর্গে যাবে
কেননা দেখেছে স্বৰ্গীয় প্ৰাণ,
বৈরী বৃষ্টিতে জীবন ছন্দ হবে
না কখনো ম্লান।
তোমার কখনো হবে না ক্ষয়
যদি ওই মূর্তি হয় ক্ষত-বিক্ষত,
প্রমত্ত স্বর রাখবে অক্ষয়
শ্রবণীয় বাণীই যে দেবসুধার মতো।
তুমি জানে না, হয়তো জানবে না
আমিই শুধুই আগন্তুক এসেছি, আর কেহ নয় বহুদুর থেকে করেছি সাধনা
তাতেই মদিরার গন্ধে অস্থির
গোটা প্রণয়জগত ময় ৷