ব্যাচে পড়তাম। আমরা তিন বান্ধবী ছিলাম ব্যাচে। প্রতিদিন একটি করে জবা ফুল জানালার পাশে পরে থাকতো। জানালার পাশে আমরা তিন জনই বসতাম। কে ফুল দেয় জানতাম না। তবে খুব আগ্রহ ছিলো সবার ফুলওয়ালাকে দেখার।
আমাদের সাথেই পড়তো নুরু। নুরুকে আমার বেশ লাগতো। যতবার নুরুর দিকে দেখি ততবার দেখি সে আমাকে দেখছে। অনেকবার চোখে চোখ আটকে গেছে। একদিন একটা ম্যাসেজ এলো লিখেছে তোমার বান্ধবীকে বুঝাও আমি তাকে সত্যিই ভালোবাসি।
আমি পুরাই থ।
তাহলে ফুলওয়ালা আমাকে নয় আমার অন্য বান্ধবী রিমাকে কি ফুল দিত? প্রশ্নটা এখনও নাড়া দেয়।
আমি এখনও খুঁজে যাই সেই ফুলওয়ালাকে।
একটুও ঘুম এলো না।পাশের সিটটায় মুখ ভর্তি দাড়িওয়ালা যুবক। আমি একদম দাড়িওয়ালা যুবক পছন্দ করি না। দাড়ি থাকবে বয়স্কদের।
এখনকার স্টাইল। সব ছেলের গাল ভর্তি দাড়ি। আমার মনে হচ্ছিলো এ স্টাইলের বিশেষ একটি কারণ আছে। মনের মধ্যে আজেবাজে ভাবনা আসছে।
এমন নিরিবিলি মধ্যরাত আমরা দু’জন স্টেশনের প্লাটফর্মের ওয়েটিং রুমে। শুনসান মফস্বলের একটি স্টেশন। একটু ভয় করছিলো।
আচ্ছা যুবকটি কি আমার মতই ভাবছে? কড়া পারফিউমের সুবাস মনটাকে এলোমেলো করে দিচ্ছে।
যুবক ধীরে পায়ে কাছে এসে বলে নীরা তোমার এক কথায় পৃথিবীর সব ত্যাগ করতে পারি। জড়িয়ে ধরে আমায় আমিও আবেশে এগিয়ে যাই।
দাড়িতে হাত রাখি।যেনো অন্যরকম মায়া ছুঁয়ে যায়।শ্বাস ঘন হয়ে আসে– চোখ খুলে দেখি সামনেই দাড়িয়ে যুবক বলছে ঘুমাচ্ছিলেন কেনো? ট্রেন হুইসেল দিচ্ছে।
আপনাকেও ধন্যবাদ। নিয়মিত লেখা দিয়ে আমাদের সাথেই থাকবেন।