কবিতা হল দ্রোহ ও বিপ্লবের ভাষা। শিহরণ জাগিয়ে, লোমহর্ষক অনুভূতির পাশাপাশি প্রেম ও শান্তিতে জড়িয়ে রাখার চিরন্তন ক্ষমতাই ‘কবিতা’ কে একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুন্দর বিশেষণে পরিণত করেছে। আমি গর্বিত আমি একজন কবিতাকর্মী।
কমরেড,
ফায়ারিং স্কোয়াডে-
আমাকে নগ্ন করে মারুন।
আত্মহত্যা যে একটি মহাপাপ।
আপনি আমারে মারলে আমি বেঁচে যাই।
প্রেমিকা ভাত খাওয়া শিখে গেলে-
ভুলে যায় প্রেমশোক।
বৃদ্ধাশ্রমের চৌকাঠ নেয় কপালের মাপ।
রাষ্ট্র -ভোট শেষে আমার নাগরিক অধিকারে তালা মারে।
ঋণের দায়ে কঙ্কাল ঝুলে থাকে গাছে, এইটা দেখে ভয় হয়-
শেষকৃত্যে মানুষের গালি!
আত্মহত্যাকারী নাকি নরকবাসী।।
আমি স্বর্গ চাই,
সুন্দর পার্থিবের আয়ু কমিয়ে গুলি করে মারুন!
তোমাকে দেখে মাতাল হয় লোকে?
তবে তুমি মদ?
আলাদা করে ভেবে দেখ-
কে তোমাকে জল ভেবেছিল?
কেউ বলেছিল তুমি আযান অথবা সাঁঝ শাঁখ এর সুর?
তুমি কিভাবে সাজো?
জলসা ঘরের নর্তকী অথবা রাণী?
মাতৃ জরায়ু চেনো?
তুমিও কি মা?
শুনে শীতল লাগে?
কেউ কোনদিন তুলসী বলে ডেকেছিল?
পূণ্য লেগেছিল?
তাকে খুঁজেছিলে ফের?
লুকিয়ে আছ ঘরে?
বাতাসে আর পথের ধূলোয় খেলা করছে বিষ!
দ্যাখো! কার্ফুতে না মরেও অভিশপ্ত আত্মা কীভাবে ঘুরছে আশপাশ!
নিকোটিনের ধোঁয়া কুণ্ডলি পাকিয়ে বাতাসের নামে চিঠি লেখে রোজ।
দায় খুঁজে বের কর।
শুদ্ধ হও।
তুমি মরলে লাশ ছোঁবে না কেউ,
আর আমি? মরেই গেছি কবে সেই তোমার হাতে!
তুমি পাপ করলে,
নিভে যায় শহুরে নিয়ন বাতি।
চল এক হয়ে থাকি,
দাঙ্গা আর যুদ্ধের পরেও মানুষ যেভাবে শান্তিতে জোট বাঁধে।
নিজেকে ফুল ভাবো?
তোমার কাছে ভ্রমর আসে?
তুমি প্রেমিক চেনো?
প্রতিটি ভ্রমর কি প্রেমিক?
তুমি শুকিয়ে যাবার পর শোকে যে ডানা পোড়ায়- সে তোমাকেই শুধু ভালবাসে।
আর যারা ফুলে ফুলে মুখ লুকায়,
তারা মধু খেতে আসে।
তুমি মধু বিলাও?
নাকি প্রেম?
গোলাপ হও,প্রেম হারানোর দায়ে মরে যাও!
আমি রাণী ভাবব তোমায়!
জানো?
রাণীদের শোকযাত্রায় বিষাদের সুর বাজে!