মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

কবিতার গল্প: সোহানুর রহমান শাহীন

মুগ্ধতা.কম

২৭ জুন, ২০২১ , ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ ;

কবিতার গল্প - সোহানুর রহমান শাহীন

কবিতার গল্প, কবিতা নিয়ে গল্প লেখা মারাত্মক এক বিপদের ব্যাপার, তাও আবার নিজের লেখা কবিতা! মুগদ্ধতা ডটকম সম্পাদক কবি মজনুর রহমান এমন একটা বিষয় বেঁধে দিয়ে নিজের গোপনীয়তাকে বাজারে তোলার একটা পাঁয়তারা যে করেছেন তা নির্দিধায় বলা যায়। নিজের অথবা কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরে লেখা কবিতা প্রকাশ করেছি তা, যে পাঠক যেভাবে বুঝবেন সেভাবেই গ্রহণ করবেন। আবার কাকতলীয়ভাবে কারো জীবনের সাথে মিলেও যেতে পারে। কবিতা লিখে তার গল্প যদি লেখনির মাঝে প্রকাশ করা হয় তা হবে ‘ঘরের কথা পরে জানলো কেমনে’র মতো সরল স্বীকরোক্তি।

এক কথায় প্রকাশ করে যদি উপরের কথাগুলে উড়িয়ে দিয়ে বলতে হয়, তবে বলি- সাহিত্যনির্ভর কর্মকান্ড সব সময় নতুন কিছু সৃষ্টিতে বিশ্বাসী, তেমনি ’মুগ্ধতা ডটকম’ এর পেজ এ নতুন এই বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিছু লেখাও হলো আবার অন্যের গোপন কথাটাও জানা হলো।

সোহানুর রহমান শাহীনের কবিতা

রিকুইজিশন প্রেম

 

চিলেকোঠার জানালা ভেদ করে আসা চোখের নামে

উইল করে দেবো যাবতীয় প্রাপ্তিসমূহ,

ছদ্মবেশ ঢেকে গিয়ে যদি আবার কোনো কালে-ভদ্রে

তাতানো উষ্ণতা ঘিরে ফিরে পাই উইন্সের কিনারে অথবা

দিশাহীন রৌদ্রের প্রখরতায় স্বপ্নীল শুভ্র ছাপ রেখে যাওয়া

ভালোবাসার অদ্ভুত কৌতূহলী চোখ।

 

মানুষ মানেই অভিনেতা, সময়ের হাত ধরে অভিনয় করতে করতে ভুলে যায় বাস্তব চিত্র প্রদর্শনের নানান কৌশল। অনাকাক্সিক্ষত চাওয়ার মাঝেও একটা তৃপ্তি কাজ কওে যায়, হোক সে চাওয়া পূর্ণতা অথবা নিষ্ফলতা। ভালোলাগা আর ভালোবাসার স্বপ্ন পুষে নিজেকে প্রাপ্ত করে তোলাটাও একটা কাজ মনে করে মানুষ অপেক্ষা করে স্বপ্ন পূরণের।

 

বেলা শেষের ট্রেন

 

রাত বাড়ে, কমে আসে উৎসবের মুখরতা

নিভে যায় বাতি, জ্বলে ওঠে;

বুকের ভেতর বসত করা

এক নিঃসঙ্গ বিড়ালের চোখ।

ভোর হায়ে আসা মেঘের উৎস খোঁজে

মুঠো মুঠো নিঃসীম বেদনা,

সীমাহীন সফেন অস্তিত্বে

কিছু বিষণ্ণতায় জমানো জলকনা।

 

জীবনের হিসেব-নিকেস করতে গিয়ে সবুজ থেকে হলেদে বর্ণে পরিনত হয় বয়সের রঙ, তবু চোখের কোণে জেগে থাকা আশা-আকাংখা বড় করে দেখার মাঝে যে শ্রান্তি প্রশান্তি উদিত হয়- তাকে বয়সের সাথে মিলিয়ে চলা নির্থক ভাববাচ্য ছাড়া আর কিছুই নয়! জ্বলজ্বলে আলোয় আলো ছড়াতে গিয়ে মেঘের আড়ালে ঢেকে যাওয়া সূর্যের কিরণ তপ্ত থাকে মেঘ সরানোর অপেক্ষায়।

 

প্রণয় বিরহী ক্রোধ

 

রঙবদলের দুঃখ নিয়ে পড়ে আছে ওড়না,

অঙ্কিত পাথর শ্লীপার;

বিভৎস মৃৃতমস্তকে অমুদিত চোখ-

ইশরায় ডাকে, হাতছানি দ্যায়।

 

প্রত্যাখানের শৈল্পিক প্রতিবাদ ঝুলে আছে

শত প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে।

 

ফিরিয়ে দিলেই তো ফেরা হয় না। সমর্পিত বন্ধন ছিন্ন করে ফিরিয়ে  দেওয়ায় যে মৌন প্রতিবাদ যার থাকে তাকে কে ফেরাবে! (নিষ্কাম্য আত্মাহুতি প্রতিবাদের রঙ নয়।)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *