একটি কবিতা ছাপাব বলে
পরিচিত লেখকদের মিনতি করেছি কত!
বহু বছর পেরুনো বিবর্ণ ডায়েরির
পাতায় ভরা কবিতা৷
হাতে লিখে কিংবা টাইপ রাইটারে প্রিন্ট করে
হেঁটে হেঁটে পত্রিকা অফিসে ছুটে গিয়েছি৷
অসহায় ভিক্ষুকের ন্যায় নত চাহনি দিয়ে
বলেছি প্রত্যাশার কথা!
ব্যবহৃত টিস্যুর মত কবিতার পান্ডুলিপি মুচড়িয়ে প্রকাশক এ সপ্তাহ-ও সপ্তাহের কথা বলেও
প্রকাশ করেনি কখনো৷
ছাপানো একটি কবিতা দেখব বলে
লাইব্রেরি কিংবা পরিচিতের বাসায় পেপার পড়ি৷
সকলেই প্রশংসায় ভাসাত পাঠাভ্যাসের জন্য,
আসল সত্যটা জানতাম শুধু আমি৷
আজ আমাকে প্রকাশকের কাছে নয় বরং
প্রকাশকরা আমার কাছে
নির্লজ্জ ভিক্ষুকের মত বসে থাকে৷
পরবর্তী লেখাটা পাবার আশায়৷
আমি জানি ওরা কেউ সাহিত্যের অনুরাগী নয়
শুধুই ব্যবসায়ী৷
তাই ওদের দিয়ে সিগারেট কিংবা গৃহকর্মী সাপ্লাইয়ের দালাল বানাই৷
পঁচে যাওয়া এসব ব্যক্তির কাছে তবুও
তুলে দিতে হয় নিজের ভালোবাসার রচনা৷
এছাড়া কোনো পথ যে খোলা নেই আর৷
সাহিত্যকে শুধুই বাণিজ্যিকীকরণ করেই
ওরা টিকে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট হয়ে৷
হয়তো আগামীতেও থাকবে!
যেমন অতীতে ছিল৷
(হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্য জীবনের ছায়া থেকে)