“কবিতা হচ্ছে সৃজনশীল মানুষের ভাবসম্পদ”
কবি ও সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম। রংপুরের সাহিত্য ও সাংবাদিক মহলে একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি ও পুরোধা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। আজ ৬ আগস্ট তার জন্মদিন। সাহিত্য এবং সাংবাদিকতা বিষয়ক তার আলোচনা মুগ্ধ করে রাখে। ঠিক তেমনি উপস্থাপনায় তিনি মুনশিয়ানার পরিচয় দেন।
আজকে জন্মদিনের ক্ষণে মুগ্ধতা ডট কম এর মুখোমুখি হয়ে জানালেন তার কবিতা, সাংবাদিকতা, সাংগঠনিক সাহিত্য চর্চাসহ অন্যান্য বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ শুভ জন্মদিন, কেমন আছেন? লকডাউনে কিভাবে কাটবে, এই বিশেষ দিনটি?
মাহবুবুল ইসলামঃ ভালো আছি। ঘরে বসেই কাটবে বাবা। পাতা প্রকাশের প্রকাশক জাকির আহমদ রাত নটায় জুম মিটিং এর আয়োজন করেছে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ লেখালেখির শুরুটা কিভাবে হয়েছিলো? পরিবারের কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন নাকি বই পড়ার অভ্যাস থেকে?
মাহবুবুল ইসলামঃ স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির প্রতি আগ্রহ ছিল আমার। বইপড়ার উপর নেশা দশম শ্রেণীতে পড়ার সময়ে। প্রথম বিজয় দিবসের সংকলন, সম্পাদনা নাম বেঁচে আছি মা । পরিবারের অন্য কেউ সাহিত্যের সাথে তেমন জড়িত নয়। অনুপ্রেরণা পেয়েছি চারণকবি মোনাজাতউদ্দিন ও সাহিত্যিক ও সংগঠক একেএম শহিদুর রহমান বিশু এর কাছে। ১৯৭৪ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত। কবিতায় প্রথম প্রেম কবিতায় শেষ আশ্রয়।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ শুনেছি সবচেয়ে কমবয়সী নিউজ এডিটর ছিলেন আপনি।
মাহবুবুল ইসলামঃ ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতা শুরু তার পরের বছর অথ্যাৎ ১৯৭৫ সালে সাপ্তাহিক মহাকালের বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। তখন আমার বয়স ছিলো মাত্র ১৭ বছর।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ বার্তা সম্পাদক হওয়ার পর লেখালেখিতে সাংবাদিকতা কোন প্রভাব ফেলেছিলো কি?
মাহবুবুল ইসলামঃ সাংবাদিকতা এবং কবিতা প্রেম পাশাপাশি চলেছে সব সময়। কখনো প্রতিপক্ষ হয়নি।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ কবিতা নিয়ে আপনার ভাবনা কি? কবিতাকে কিভাবে উপলব্ধি করেন?
মাহবুবুল ইসলামঃ কবিতা আমার প্রথম প্রেম। আমি মনে করি কবিতা হচ্ছে সৃজনশীল মানুষের ভাবসম্পদ । কবিতায় আমরা পাই একজন ব্যক্তি মানুষের রুচি স্বপ্ন প্রত্যাশা এবং জীবন ও জগতের নানা অভিজ্ঞতার বাংময় সার সংক্ষেপ । একটি কবিতা পাঠ করবার পর যখন একজন পাঠক নিজেই নিজের মধ্যে বিস্ময় অভিভূত হন এ তো আমারই কথা এ তো আমারই স্বপ্ন এ তো আমারই বিরহ কবি জানলো কেমন করে তখনই একটি কবিতা সফল কবিতা হয়ে ওঠে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ আপনার পছন্দের কবিদের নাম জানতে চাই। যারা আপনার কবিতার পাঠকে তৃপ্তি দিয়েছে।
মাহবুবুল ইসলামঃ পছন্দের কবি অনেকই। বিশেষ করে মহাদেব সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, হাসান হাফিজুল ইসলাম ও আবুল হাসানের কবিতা আমার খুব ভালো লাগে
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ বর্তমানে কবিতা যারা লিখছেন তাদের কবিতায় কি নিজস্ব স্বর তৈরী হচ্ছে?
মাহবুবুল ইসলামঃ এখন যারা কবিতা লিখছেন তাদের কবিতা ভালো কিন্তু অকপটে একটা বিষয় বলতে চাই যদিও এতে অসন্তুষ্ট হবেন তরুণ কবিরা। কিন্তু আমার ধারনার কথাটি বলতে চাই সেটি হচ্ছে ইদানিং কবিতায় বহুমাত্রিকতা কমে যাচ্ছে বিষয়বৈচিত্র্য কম যে কারণে পাঠকদের আগ্রহ কিছুটা স্তিমিত মনে হয়।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ সাহিত্য চর্চায় সংগঠন এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? আপনি একসময় অভিযাত্রিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ এর সাহিত্য আসরগুলো পরিচালনা করতেন। সময়ের ব্যবধানে সাংগঠনিকভাবে সাহিত্য চর্চার কোন পরিবর্তন এসেছে?
মাহবুবুল ইসলামঃ সাহিত্যচর্চা একান্তই ব্যক্তিগত কিন্তু সংগঠন একজন মানুষের সৃজনশীলতা বিকাশে যথেষ্ট সহায়তা করে। সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে লেখালেখির একটা তাগিদ থাকে যা তাকে নিয়মিত লিখতে অনুপ্রাণিত করে। কাজেই সাহিত্য আসর বা সাহিত্য সংগঠন এগুলো সৃজনশীলতারই অনুষঙ্গ।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ সৃজনশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রে সংগঠন গুলো কি সেই আবেদন ধরে রেখেছে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা নজরুল ইসলামসহ গুটি কয়েকজনের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হলেও সেটা তাদের জন্মবার্ষিকী কিংবা প্রয়াণ দিবসে আলোচনা হচ্ছে তবে সীমিত পরিসরে। কিন্তু আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, শক্তি চট্টোপাধ্যায় কিংবা শঙ্খ ঘোষ, বিনয় মজুমদার, উৎপলকুমার বসু, নবারুণ ভট্টাচার্য এদের কবিতা নিয়ে তেমন আলোচনা করা হয় না। আপনার কি মনে হয় না সাহিত্য পাঠের, আলোচনার সীমাবদ্ধতার কারণে সংগঠন করা লেখকরা পিছিয়ে আছে?
মাহবুবুল ইসলামঃ একেবারে আলোচনা হয় না এটা বলা যাবে না তবে জীবন মাত্রই পরিবর্তনশীল। বিজ্ঞান ক্রমাগতভাবে আমাদের জীবনকে দ্রুতলয়ের এবং যান্ত্রিকতার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর ও সাহিত্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটাও কম তাৎপর্যবহ নয়।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ রংপুরের সাহিত্য নিয়ে এবার একটু আসি। লেখালেখিতে অনেক প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক, কবি রংপুরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এই মুহূর্তে কাদের কথা মনে পড়ছে যাদের আপনি খুব কাছে থেকে দেখেছেন।
মাহবুবুল ইসলামঃ মোনাজাতউদ্দিন, একেএম শহিদুর রহমান বিশু, রোমানা চৌধুরী, তাহমিদুল ইসলাম, রকিবুল হাসান বুলবুল এরা অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ তরুণদের উদ্দেশ্য আপনার বক্তব্য কি? আর কবে নাগাদ বই প্রকাশিত হচ্ছে আপনার? নাকি “যদি যাই অলক্ষ্যেই চলে যাবো ঘোষণাবিহীন” আপনার এই কবিতার লাইনের মতোই অলক্ষ্যে মিলিয়ে যাবে?
মাহবুবুল ইসলামঃ বই বের হবে শিগগিরই আর তরুণদের নিয়ে কি বলবো তরুণরাই তো সব পৃথিবীতে যত পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণরা। সাহিত্যের তরুণ তুর্কিরাও আগামীদিনের সাহিত্য পথ তৈরি করবে নিজেদের সৃজনশীলতা দিয়ে। তবে তাদের অনেক বেশি পড়তে হবে জানতে হবে, উপলব্ধি করতে হবে।
মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ঃ এতোক্ষণ ধৈর্য নিয়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। অনেক প্রশ্ন ছিলো আশা করি সামনাসামনি কবিতা ও সাহিত্য নিয়ে বিস্তর আলাপ হবে। ভালো থাকবেন, আপনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
মাহবুবুল ইসলামঃ তোমাকেও ধন্যবাদ। মুগ্ধতা ডট কম এর সকল লেখক, কলাকুশলীদের প্রতি ভালোবাসা আমার।
কবি ও সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলামের জন্মদিন আজ।
আমাদের কবি। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার আসনে যিনি সবসময় থাকেন সবার মাঝে। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাহিত্য অঙ্গনে যার বিচরণ অনুজদের সবসময় অনুপ্রেরণা যোগায়। তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সামান্য আয়োজন।
পিতা-মরহুম নঈম উদ্দিন আহমেদ, মাতা মরহুমা হামিদা খাতুন। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ঠনঠনিয়া পাড়া গ্রামে জন্ম। প্রাথমিক শিক্ষা নিজ গ্রামে। পরে রংপুরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কারমাইকেল কলেজে শিক্ষালাভ। সত্তরের দশকে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা ও সাংবাদিকতায় প্রবেশ l ১৯৭৪ সালে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু। দৈনিক কালান্তর, সাপ্তাহিক মহাকাল, দৈনিক উত্তরা, দৈনিক দাবানল, দৈনিক রংপুর, দৈনিক মাতৃভূমি, দৈনিক আজাদী, দৈনিক সংবাদ এবং দৈনিক বাংলায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন l ২০০০ সাল থেকে টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলায় রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তী সময়ে একই গ্রুপের এটিএন নিউজ চ্যানেলে যুক্ত হন। টেলিভিশন সাংবাদিকতার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্র খন্ডকালীন সংবাদ অনুবাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সবকিছুর পাশাপাশি তিনি একজন নিরলস সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী।
আশির দশকে রংপুরে ‘কতিপয় কবিতাকর্মী’ সংগঠন ও ‘সহসা দ্বাদশ’ পত্রিকার মাধ্যমে কবিতাচর্চার এক অন্য দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন। রংপুরে তারাই প্রথম দর্শনীর বিনিময়ে কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
রংপুরে তাকে সাংবাদিকতার গুরুও বলা হয়, তার মাধ্যমে অনেক তরুণ এ পেশায় এসে নিজেদের বিকশিত করেছেন।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে মাহবুবুল ইসলাম স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক। বড় কন্যা একজন চিকিৎসক, বাকী দুজন পড়াশোনা করছে।
যদি যাই অলক্ষ্যেই চলে যাবো ঘোষণাবিহীন
দীর্ঘ জীবন কাজ সংসার উদযাপন অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি রেখে
প্রস্থানের কালো নৌকায় তুলে দেবো পাল
যদি যাই একমাত্র আমাকে নিয়ে আমি চলে যাবো।
কেউ কারো জন্যে অপেক্ষা করেনা
না জীবন না মৃত্যু না প্রেম
মানুষের প্রতীক্ষা বড়ো ক্ষণস্থায়ী
মানুষেরা বুকের ভাষা পড়তে জানেনা।
তোমার মধ্যেই খুঁজেছি আশ্রয়
আর যত কিছু সবই গেছি দলি
আমার উৎস তুমি
তুমিহীন মিথ্যে সকলি।
আমরা দুজন একই শহরে থাকি
মিলন নয় বিরহের ছবি আঁকি,
আমরা দুজন এই শহরের খুনি
প্রিয় মুহূর্তজুড়ে বিচ্ছেদ শুধু বুনি।
স্বপ্ন হতে চেয়েছিলাম
অনুরাগের সাথে
কিন্তু তুমি ঘুমোওনি সে রাতে।
তুমি চেয়েছিলে শুদ্ধ সংগীত আমি মাতাল গান
দুই ভুবনে দুই সুর বাজে
হলো না ঐকতান।
ভালোবাসার নাম দিয়েছি প্রবহমান নদী
ওদিকে যেও না বেশি
হারিয়ে যাও যদি
নদী ও নক্ষত্রে খুব
পরানের টান
তোমার জন্য অশ্রু বুনি
বুনি স্বপ্নগান।
অভিযাত্রিক এক সংঘের নাম
অভিযাত্রিক এক শুভ সংগ্রাম
আমরা অভিযাত্রিক,
দুরন্ত এক ঝাঁক আলোর পথিক।।
কবিতা ও গল্পে গানে সংলাপে
আমরা নিবিড় হই হৃদয় উত্তাপে
আমরা খুঁজি পথ আলোর সঠিক।।
মানবিক ভালোবাসা প্রিয় অঙ্গীকার
প্রেম হয়ে গেথে থাক সে অহংকার।
আমাদের বুকে আছে এ দেশের ঘ্রাণ
স্বপ্নে ও সুরে তাই শান্তি শ্লোগান
আমাদের পথ চলা হোক নির্ভীক।।
“মাহবুবুল ভাই শুভেচ্ছা জানবেন। আজকের এই শুভদিনে অনেক শুভ কামনা রইল । মাহবুবুল ভাই মানে যেন খোঁচা খোঁচা দাড়ির বিশাল মনের এক সাদা মানুষের ছবি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে।
বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন ফোরামে, পত্রিকা অফিসে, কবিতার কথায়, সাহিত্যের আলোয়, রেডিও নিউজে, রেডিও প্রোগ্রামে আপনার সাথে আমার পথ চলা সেই সত্তুর দশকের শেষ (১৯৭৮) থেকে শুরু। আপনার কাছে অনেক শিখেছি।
কিছু কিছু মানুষের যেন জন্মই হয় মানুষকে দেবার জন্য । আপনি সেই মানুষদের মধ্যে একজন।
সেই যে কতিপয় কবিতা কর্মী দিয়ে শুরু।
আমরা কতিপয় কবিতা কর্মীর ব্যানারে রংপুরে প্রথম দর্শনীর বিনিময় কবিতা সন্ধ্যার ১৮ই নভেম্বর ১৯৮২-তে আয়োজন করেছিলাম । আমার মতো, আমরা অনেকে অনেক জুনিয়র ছিলাম আমি শ্বাশত,, মুকুল রায়, কৃপা আরো অনেকে। ক্ষমা চাইছি এই মুহূর্তে নাম মনে পরছে না। আপনি আনোয়ারুল ইসলাম রাজু, সোহরাব আলী দুলাল মনোমোহন বর্মন, শহিদ কাদেরী, কালী রনজন বর্মন, ড. রেজাউল হক, সুব্রত চৌধুরী আরো যাঁরা গুণীজন ছিলেন সেই আপনাদের নির্দেশনায় সার্থকভাবে অনুষ্ঠানটি সফল হয়েছিল।
ঢাকা থেকে ফজল শাহাবুদ্দীন, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, আল মাহমুদ, আব্দুল হাই শিকদারসহ অনেকেই এসেছিলেন।
যাক সে কথা । আমি বলবো মাহবুবুল ভাই মানেই একটা প্রতিষ্ঠান ।
আপানার বিজ্ঞতা, আপনার বিচক্ষণতা, আপনার অমায়িক ব্যবহার, আপনার সৌজন্যতা আপনাকে অতুলনীয় কোরে তুলেছে। আপনার কাছে শুধু শেখারই আছে। দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনাকে দীর্ঘ আয়ু দান করুন।”
শাহিদা মিলকি
কবি ও শিক্ষক
মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিক, কবি, বেতার ব্যক্তিত্ব, সংগঠক। নিম্নকণ্ঠ তবে সদালপী। অগ্রগামিতাই তার প্রত্যয়। তারুণ্যের উদ্বোধনে নিরলস। কাব্যিক চেতনায় প্রেম ও মানবতা উজ্জ্বল। সাংবাদিকতার ভুবনে অগ্রণী। সমাজ, দেশ, সাহিত্য- সংস্কৃতির ভুবন সমৃদ্ধি দিতে অকুণ্ঠ চিত্ত। অব্যাহত থাক মঙ্গল কর্মের ধারা। জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা, শুভ কামনা।
প্রফেসর মোহাম্মদ শাহ আলম
শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক
“প্রিয় মাহবুবুল ভাইয়ের জন্মদিন এ জানাই
জন্মদিন জন্মদিন জন্মদিন
শুভতায় ভরা থাক প্রিয় অগ্রজ জীবন
সৃজন কলম মুগ্ধতার আবেশ
সত্যতার পালক উড়িয়ে
বুনুক দীর্ঘ নির্মল এক
অনন্য রাজপথ
সে পথে ভালো থেকো
খুব ভাল
জ্বেলে হৃদয়ের অনিন্দ্য আলো।
স্নেহধন্য নাসিমা আকতার”
নাসিমা আকতার
কবি ও শিক্ষক
“কবি ও সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম আমার চোখে ভয়াবহরকমের জিনিয়াস। তাঁর হাতের লেখা দেখে আজও মুগ্ধ হই।”
আবিদ করিম মুন্না
লেখক ও সহকারী সম্পাদক
বাংলা একাডেমি