তোমার বাসার সামনে দিয়ে
চলে যাওয়া ছোট্ট গাঁয়ের পথ‚
ধুলো উড়িয়ে ছুটে যায়
গরু মহিষ আর ছাগলের পাল‚
অকারণে দৌড়ে বেড়ায় শিশুর দল;
শুধু খেলা আর খেলা-
সারা দিনমান!
পথ-পাশে কলমির ঝোঁপ‚
বাঁশঝাড়ে হরেক রকমের পাখি;
গেয়ে যায় গান-
সুমধুর সুরে;
আনন্দে রাঙাতে তোমায়-
সারাক্ষণ!
গেটের কাছেই লাল নীল
বেগুনি রঙের বুনোফুল থাকে ফুটে‚
স্বপনের বারতা সাজিয়ে-
স্বাগত জানাতে তোমায়!
তুমি পথে নামলেই শান্তিবার্তা
ছড়িয়ে দেয় চারিপাশে!
চেয়ে দেখো‚
সমস্তু প্রকৃতি তোমার ছোঁয়ায়
মত্তপ্রায়; আসা-যাওয়ার
পথে যে সুবাস ছড়িয়ে যাও‚
তাতেই বিষন্ন ধরণীর সব
কষ্টের সমাপ্তি ঘটে-
এক লহমায়!
হ্যাঁ‚ সমস্ত পৃথিবীর-
সবারই দুঃখ-কষ্ট লাঘব হয়!
শুধুমাত্র একজনেরটা ছাড়া…
আচ্ছা‚ আমার সাথেই এতো বৈষম্য কেন?
তোমার স্বপ্নের সাতরঙে নিজেকে রাঙাই‚
সাদাকালো জীবনটাকে
রঙিন করে তোলার অভিপ্রায়ে;
ভাবনাহীন অসীম সুখের মূহুর্তেও দ্বিধা-মিশ্রিত
অনিশ্চয়তার আশংকা লেগেই থাকে;
– যমদূত প্রায়।
তাই তো অবিশ্বাসের দোলাচলে নিত্য বসবাস-
বেগুনি আর আকাশি রঙের ঝর্ণাধারায় অশান্ত
অবগাহন‚ যদিও আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তির খাতায়
গরমিলের চেয়ে সাদৃশ্যের ভাষাই
বেশি লক্ষিত হয়।
এতো মিল এতো মুগ্ধতা
এতো মধুরতার শেষ বিন্দুতে
পৌঁছানোর সেই স্বপ্নটা তোমার‚
কি এক ভ্রান্ত নিয়মের বেড়াজালে-
আজো অধরাই থেকে যায়‚
নাকি রেখে দাও?