দেখা যাচ্ছে যে, করোনার আক্রমণে যেসব রোগী হার মানছেন তাদের ৮ থেকে ৯ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী। এর মূল কারণ হলো, ডায়াবেটিক রোগীর সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি কম। ফলে করোনা তাদেরকে সহজে কাবু করতে পারে। একই সমস্যায় এসব রোগীর প্রেসার, কিডনি ইত্যাদিতে প্রভাব পড়ে থাকে। কাজেই অন্য অনেক সাবধানতার মধ্যে ডায়াবেটিক রোগীর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
১. কোন অবস্থাতেই তাদের সুগার লেভেল যেন বেশি না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। ওষুধ বা ইনসুলিন অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
২. সকাল সন্ধ্যা বাইরের হাঁটা এখন বন্ধ হলেও ঘরেই ব্যায়াম করতে হবে।
৩. দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার ঠিক রাখতে হবে।
৪. ঘরেই সুগার মাপার জন্য গ্লুকোমিটার রাখতে হবে। প্রতিদিন মেপে দেখতে হবে।
৫. হাঁচি কাশি তা সে যে কারণেই হোক (আগের অ্যালার্জিজনিত হলেও) সেটা যেন কোনভাবেই অন্যের সামনে দেয়া না হয়।
৬. হাঁচি-কাশি রোধে সব ধরণের ঠাণ্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।
৭. বয়স্ক ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বেশি সাবধান থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন
৮. বাড়িতে কোন জ্বরকাশির রোগী থাকলে তাকে প্রথমেই ডায়াবেটিস ও বয়স্ক লোকদের কাছ থেকে আলাদা করে রাখতে হবে।
৯. এসব রোগী কোন অবস্থাতেই যেন বাইরে না যান সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
১০. কোন ধরণের হরমোনজনিত সমস্যা থাকলে সেদিকে নজর দিতে হবে।
১১. কিডনির/ হাইপারটেনশনের সমস্যা থাকলে আগের পরামর্শ ঠিকমতো মেনে চলতে হবে।
মোট কথা কোন অবস্থাতেই ডায়াবেটিক রোগীর সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না।
ডা. মনোজ গোয়েল, বিভাগীয় প্রধান, পালমোনলোজি, ফরটিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভারত-এর ভিডিও সহায়তা।