বাংলাদেশে নতুন করে আরও ছয় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ৩৯ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ছয়জনের মধ্যে একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হলো।
সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন পাঁচজন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, যিনি মারা গেছেন, তার বয়স ৭০ বছরের বেশি। তিনি একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ”নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। তিনি ওমরাহ করে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন। বাকি চারজন আগে চিহ্নিত রোগীদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।”
যিনি মারা গেছেন, তিনি কিভাবে সংক্রমিত হয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে জবাবে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ”তার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আমরা এখনো সংগ্রহ করছি। সব তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের জানাবো।”
তিনি জানান, নিশ্চিত রোগী বা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, আইসোলেশনে থাকা এমন ব্যক্তিদের সংখ্যা ৪০জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪৬জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯২জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। এ পর্যন্ত ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়গুলো কড়াকড়িভাবে মেনে চলার জন্য আবারো আহবান জানান।
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, এখন পর্যন্ত যে ৩৯জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দুই তৃতীয়াংশ পুরুষ, এক তৃতীয়াংশ নারী।।
তাদের মধ্যে ১০ বয়সের নীচে আছে দুজন, ১০ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে নয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং ৬০ বছরের উর্ধ্বে আছেন ছয়জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা শহরে। এই ৩৯জনের মধ্যে ১৫জনই ঢাকা শহরের বাসিন্দা।
মাদারীপুরে আক্রান্ত হয়েছে ১০জন, নারায়ণগঞ্জে আছেন তিনজন, গাইবান্ধায় দুইজন, কুমিল্লাতে একজন, গাজীপুরে একজন এবং চুয়াডাঙ্গায় একজন।
সংক্রমিতদের মধ্যে অন্য দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন ১৩জন। বাকি ২০জনই কোন না কোনভাবে এদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ইতালি থেকে এসেছেন ছয়জন, ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে দুইজন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুইজন, বাহরাইন থেকে একজন, ভারত থেকে একজন এবং কুয়েত থেকে একজন।
এদের বেশিরভাগের অবস্থাই স্থিতিশীল বলে জানান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি বাংলা