রাজিয়া সুলতানা আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি লেখক। তিনি সেখানকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে পরিবারসহ বসবাস করছেন এবং সেখানে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের দুঃসহ সময়ে লকডাউনে থাকাকালীন তিনি লিখছেন তাঁর সেইসব অভিজ্ঞতার কথা।
রাত্রি গভীর। পাখিদের শিষে সেই মগ্নতা। আরেকটা দিন আসছে। আরেকটা ভোর। শুনছি বাঁচার জন্য বড় বড় স্টেটের কিছু মানুষ আমাদের মতো কম জনবসতিপূর্ণ স্টেটগুলোতে আসছে। বাঁচার চেষ্টা কার না থাকে? মৃত্যুভয়? কিন্তু যে ভাইরাস বাহন পেলে এক উৎস থেকে আরেক আশ্রয়ে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায় তাকে কে রোধ করবে?
ভয় পাচ্ছি কি? তাই বা কেন? তাই বা না কেন? সাবধানের মার নেই? উঁহু! রবীন্দ্রনাথ বলেছেন-‘মারেরও সাবধান নেই!’ কী কথা রে বাবা!
আবার লৌহে মাহফুজে যদি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণ একদিনে জমা হয়ে থেকে থাকে, ওগুলোর ভাগ্যও কি লেখা হয়ে যায় নি একই সময়ে! আশ্চর্য এই জীবন! এ লিভিং মিরাকল! কেউ আস্তিক আবার কেউ নাস্তিক আমরা। দু’দলই আবার নিজ নিজ বিশ্বাসে অনড়। একজন বলছে আগে বিশ্বাস তারপর যুক্তি। আরেকজন বলছে আগে যুক্তি তারপর বিশ্বাস। আহা! হৃদপিণ্ডে এই যে ধুকপুকানি – এই পাল্সটাই জীবন। মহাজীবন। কেমন করে এসে এই দেহের খাঁচায় ধরা দিয়েছে!
অন্যদিকে ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই। আহা স্বাধীনতা!
আহা! মোবাইলের মেমোরিভিলা গো! তোমারও দৃশ্যমান কোনো অস্তিত্ব দেখি নে! কী সব ভাবছি আবোল তাবোল !
চলুন, এই নিদারুণ করোনার দিনে একটা ইংরেজি কবিতা পড়া যাক। মা আর পুত্রের কথোপকথন- আমার লেখা।
After fourteen days of quarantine, he came home
And said – the campus was such a boredom
I said, ‘Why didn’t you come early?’
He said -‘I didn’t want to give it to daddy if I was carrying one, I am worried about his age.’
He said – ‘I heard papa and mama are going up town like crazy dewans
What are they up to, mom?’
I said, ‘I don’t know but mama says it’s routine for her to go at least once’
‘Once? Once a day?’
I said, -Once a week, son’.
‘Where is the air-spring mattress you got for me?’
It’s in the closet, go see if it fits’
‘Where should I lay it?’
‘In the walk in closet
Just big enough to lay down for quarantine’
‘I want to pray
And say all the things I want to say to God’
‘What are they?’
I want say to God, I don’t mind to die
But I want to be safe’
‘What do you mean?’
‘Do you remember I said once I didn’t believe in God?
Now, I have changed my mind
Do you want to know why?’
‘Tell me.’
I knew God was always there and has been, He is.’
‘What do you mean?’
‘I mean I was being clever
God knows that
I had doubt before – the question where did He come from
I asked Him one day and He didn’t answer
I thought if He can’t answer my question why is He the God then?
It didn’t make sense to me
But I have given it a thought
Hard and long
Finally I thought God is God
Who is going to bail Him out
Who does not need any bond!’
‘Son, what do you mean?’
‘I mean He is all in all
And He is my rock ‘n roll.
Son, the mattress is ready, would you go on lie down?’
‘I will mom but you must believe me.’
‘Why is that important?
‘Cz, I need a witness.’
‘What for?’
‘Oh! You don’t get it! it’s my peace of mind.’
রাজিয়া সুলতানা
কবি, লেখক ও অনুবাদক।
জন্ম গাইবান্ধা জেলার সৈকতপাড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে তিনি অনার্স ডিগ্রি নেন। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি গণিত ও অন্যান্য বিষয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনশেষে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ভালোবেসে ভালো নেই তাঁর প্রথম কবিতা সংকলন (২০১৫)। দ্বিতীয় কবিতাগ্রন্থের নাম হারপুনে গেঁথেছি চাঁদ (২০১৬) । সম্প্রতি ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত ইংরেজিতে অনূদিত বাংলা কবিতার সংকলন পোয়েটিকস অব গ্রীন ডেল্টা য় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। এছাড়া তার অনূদিত আরও দুটো বই-‘ইশিগুরো তিনটি বড় গল্প’ এবং স্লোভেনীয় কবি গ্লোরজানা ভিবারের নির্বাচিত কবিতাগ্রন্থ In Proximity of Silence এর অনুবাদ ‘নৈ:শব্দ্যের কাছাকাছি’। এই গ্রন্থটি স্লোভেনিয়া থেকে প্রকাশিত হয়।