মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

করোনার নতুন লক্ষণ: গন্ধ ও স্বাদের অক্ষমতা!

ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ

২৩ মার্চ, ২০২০ , ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

করোনার নতুন লক্ষণ: গন্ধ ও স্বাদের অক্ষমতা!

আপনি কি আজকাল গন্ধ নিতে পাচ্ছেন? ফুল, পারফিউম, খাবারের গন্ধ যদি আপনি না পান- তবে সাবধান। আপনার করোনা ভাইরাস শরীরে থাকতেও পারে যদিও অন্য লক্ষণ নাও থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস তাদের ২২ মার্চ সংখ্যায় নতুন এই তথ্য দিয়েছে। এটাকে তারা বর্ণনা করেছে ‘অদ্ভুত’ লক্ষণ হিসেবে।

চিকিৎসকেরা যারা কোন গন্ধ পাচ্ছেন না তাদের আলাদা করে ফেলছেন অন্যদের থেকে। Anosmia মানে যাদের গন্ধ নেবার ক্ষমতা লোপ পায়।

নতুন তথ্য অনুসারে সাউথ কোরিয়ার ২০০০ লোক যাদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে তাদের ৩০% লোকের Anosmia ছিল। অন্যদিকে Ageusia হলো স্বাদ নেবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা। এই লক্ষণটি কারও কারও ভেতরে দেখা দিতে পারে।

পত্রিকাটি জানায়, ব্রিটিশ রাইনোলোজিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ক্লারা হপকিন্স এবং ইএনটি ইউকে গ্রুপের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার যৌথভাবে এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছেন। এছাড়া আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অটোল্যারিনজোলজিও তাদের ওয়েবসাইটে এই দাবি করেছে।

তাদের মতে, কোভিড-১৯ যেহেতু নাক,মুখ বা গলা দিয়ে বেশি প্রবেশ করে সেহেতু যেসব রোগী গন্ধ শুঁকতে পারছে না বা স্বাদ নিতে পারছে না তাদের দ্রুত আলাদা করে ফেলতে হবে।

তারা আরও দাবি করেন যে, চিনের উহানে অনেক নাক, কান, গলার চিকিৎসক আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে থাকায় মারাও গেছেন। যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফ পত্রিকার ২২ মার্চ সংখ্যায় আরেকটি নিবন্ধে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানানো হচ্ছে যে, গন্ধের অনুভুতির সাথে কারও আবার জিহ্বার স্বাদ, পেট ব্যথা অথবা চোখের প্রদাহও দেখা দিতে পারে।

প্রফেসর নির্মল কুমার স্কাই নিউজকেও করোনা আক্রান্তদের গন্ধ না পাওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া আরও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খবরটি এখন প্রকাশ করছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের লক্ষণগুলোতে এই নতুন লক্ষণগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। কিন্তু এই সংস্থার ওয়েবসাইটে এটাও বলা আছে যে, কিছু ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তদের মাঝে কোন লক্ষণই নাও দেখা দিতে পারে।

বিশ্ব এই ভয়াবহ রোগের সাথে যেহেতু আগে পরিচিত ছিল না তাই নতুন- নতুন হাইপোথিসিস/ থিসিস যোগ হচ্ছে। এটাকেই অব্যর্থ পরীক্ষা বিবেচনা করার দরকার নাই। এটা সাবধানতার অংশ হিসেবে গ্রহন করা যেতে পারে আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা তো আছেই। সাঁতার না জানা মানুষ খড়কুটো ধরেও বাঁচতে চায়।

 

ডা. ফেরদৌস রহমান পলাশ
সহযোগী অধ্যাপক
প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর

 

ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ
Latest posts by ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ (see all)