গর্ভাবস্থায় থাকা নারীরা শারিরীক ও মানসিকভাবে এমনিতেই নানা ধরণের জটিলতায় থাকেন। একইসাথে এসব নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে। ফলে করোনাসহ যে কোন ধরণের ভাইরাল ইনফেকশন সহজেই তাদের কাবু করতে পারে।
তবে শুধু গর্ভবতী হলেই যে তাকে ভাইরাস আক্রমন করবে এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
১. সব রকম পরিচ্ছন্নতার নিয়ম কানুন বজায় রাখা।
২. যারা বাইরে যায় বা যারা বাইরে থেকে আসা লোকজনের সংস্পর্শে আসে তাদের সংস্পর্শে না আসা।
৩. বাইরে ভ্রমণ না করা। এটা এসময় অত্যন্ত দরকারি
৪. পদক্ষেপ।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলা।
এর উত্তর হলো, আপাতত না। কারণ এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণার ফল বলছে মায়ের শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধলে সেটি গর্ভস্থ শিশুর শরীরে যায় না।একটি গবেষণায় ১০৯ টি নবজাতক শিশুর উপর গবেষণায় চালানো হয় যাদের মা কোভিড-১৯ এর দ্বারা আক্রান্ত কিন্তু শিশুদের শরীরে এমন কিছু পাওয়া যায় নি।
না। বুকের দুধে সমস্যা নেই। তবে এসময় যা খেয়াল রাখতে হবে তা হলো:
১. যখন দুধ পান করাবেন তখন যেন আপনার হাত ও স্তন পরিপূর্ণ পরিস্কার থাকে।
২. একই সময়ে আপনি মাস্ক পরে নেবেন যাতে আপনার হাঁচি-কাশির ড্রপলেট, মুখের লালা ইত্যাদি শিশুর গায়ে-মুখে না লাগে।
৩. যদি কোন কারণে বাইরের দুধ খাওয়ান তাহলে সেই পাত্র যথাযথ পরিচ্ছন্ন কি না তা খেয়াল করুন।
সর্বোপরি, করোনা ভাইরাস বারবার তার চরিত্র পাল্টাতে চায়। এবং এসব বিষয় নিয়ে গবেষণাও বিস্তর নেই। কাজেই এসব ক্ষেত্রে গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েরা অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন এটাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দ্যা গার্ডিয়ান এবং ভারতের মাদারহুড হাসপাতাল-এর ওয়েবসাইট অবলম্বনে।