মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ: তারপর কী?

ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ , ১:০৫ পূর্বাহ্ণ ;

কোভিড-১৯ এর  টিকা গ্রহণ  তারপর কী

রোগ থাকলেই তার প্রতিকার আছে।

মানব সভ্যতার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যত মারাত্মক রোগ মহামারি আকারে ছিল মানুষ সেগুলেকে প্রতিহত করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশেও গত ২৭ জানুয়ারি  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টিকা গ্রহন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন আরও ৫৪১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে টিকা দেওয়া হবে। টিকা নিয়ে মানুষের মনে এখনও বিভিন্ন প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। সেসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কনসালটেন্ট ডা. ক্যাথরিন ওব্রায়েন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। টিকা গ্রহণের ঠিক কতদিনের মধ্যে এ টিকা কাজ শুরু করবে তা বলা কঠিন, তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে প্রথম ডোজ দেবার ১৪ দিন পর ইমুনিটি বৃদ্ধি পায় এবং দ্বিতীয় ডোজ নেবার পর সেই ইমিউনিটি বজায় থাকে এবং বৃদ্ধি পায়

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কতদিন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন আপনাকে সুরক্ষা দেবে? এটা অনিশ্চিত।

অনেকে জানতে চায়, এ টিকা নিলে কি আবার কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবেন কিংবা যিনি টিকা নিয়েছেন তিনি কি অন্যকে আক্রান্ত করতে পারেন? এ প্রশ্নের উত্তরে ডা.কেনেথ ও’ব্রায়েন বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে এখনও বলার সময় আসনি যে এ ভ্যাকসিন নিলে তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবেন কি না বা অন্য কেউ তার মাধ্যমে আক্রান্ত হবেন কি না।  এ টিকা নেবার পরও কি মাস্ক পরা, হাত ধোওয়া অব্যাহত রাখতে হবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এখনও সবার জন্য এ টিকা নিশ্চিত করতে পারি নাই। তাই আমাদের হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে যতদিন না এর সংক্রমণ হার কমে যায়। শিশুদের টিকা দানের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারাও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত আক্রান্ত হচ্ছে, ফলে এ রোগ শিশুদের মাধ্যেও থেকে যেতে পারে এবং ছড়িয়ে পড়তে পারে বড়দের মাঝে। যে দেশ যত দ্রুত দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারবে এবং এর সংক্রমণ কমাতে পারবে সে দেশ তত দ্রুত করোনামুক্ত হতে পারবে। সময়ই বলে দেবে আমাদের সামনে কী অপেক্ষা করছে।

Latest posts by ডা.ফেরদৌস রহমান পলাশ (see all)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *