“কবিতা- করোনা বিধ্বস্ত পৃথিবীর বুকে তুলুক জীবনের জোয়ার” শ্লোগানকে সামনে রেখে ৫ মার্চ শুক্রবার পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে অনুষ্ঠিত হলো জাতীয় কবিতা পরিষদ রংপুরের ৫৫০ তম সাপ্তাহিক আসর পূর্তি ও একাদশ কবিতা পারায়ণ উৎসব। দুপুরে কবিতাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। পরে শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দুপুর তিনটায় মূল অনুষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতার রংপুরে আঞ্চলিক পরিচালক ড. হারুন অর রশীদ এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের অতিরিক্ত কমিশনার সাহিত্যিত অরুণ কুমার বিশ্বাস।
জাতীয় কবিতা পরিষদ রংপুর শাখার সভাপতি ব্রজ গোপাল রায়ের সভাপতিত্বে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুব্রত ভট্টাচার্য ও কবি অনিমেষ পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সহসভাপতি মৌসুমী সঙ্কর ঋতা। সংগঠন এর কার্যক্রম, পরিচিতি নিয়ে আলোচনা করেন সাধারণ সম্পাদক মনজিল মুরাদ লাভলু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নাট্যকার মনোয়ার হোসেন, ছড়াকার আনিসুল হক, লেখক ও গবেষক রেজাউল করিম মুকুল, লেখক ও সাংবাদিক আফতাব হোসেন, অভিযাত্রিক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রানা মাসুদ, মৌচাক সম্পাদক রেজাউল করিম জীবন, লায়ন আজহারুল ইসলাম দুলাল, কবি মিনার বসুনিয়া, বিভাগীয় লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমদ প্রমুখ।
প্রতিবারের মতো এবারও রঙিন কলেবরে সংগঠনটির মুখপত্র তর্জনী প্রকাশ করেছে। এবারের সংখ্যাটি উৎসর্গ করা হয় করোনাকালীন সময়ে হারানো সকলকে।
অনুষ্ঠানে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ছড়াকার মৌসুমী সঙ্কর ঋতার আমার বন্ধু হাওয়াই মিঠাই নিয়ে আলোচনা করেন অভিযাত্রিক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ছড়াকার সাঈদ সাহেদুল ইসলাম। অন্য কবিতার বইটি নিয়ে আলোচনা করেন কবি মিনার বসুনিয়া।
জাতীয় কবিতা পরিষদ রংপুরের ৫৫০ তম সাপ্তাহিক আসর উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় শতাধিক কবির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো। কবি অনিন্দ্য আউয়ালের উপস্থাপনায় কবিতা পাঠ আর গানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।