যুগ যুগ ধরে পাপের ছোঁয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো ব্যথাতুর খেজুর গাছেরা-
শুকিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে রইত একেকটা পাথুরে পাহাড় এই দেহে;
তারপর একদিন করুণা হয়ে এই বুকে পড়তো আমার রাসুলের পা,
আমি আনন্দে দিশেহারা হয়ে যেন মরুর বালি দিগ্বিদিক উড়ে বেড়াতাম
রাসুলকে বয়ে বয়ে ভিজতাম আর শুকাতাম এই দিশেহারা খুশির পুতুল।
হিজরতের ব্যথা নিয়ে দেশত্যাগী আমার রাসুল
উম্মত উম্মত বলে কেঁদে কেঁদে এই দেহের উপরে ঘুমাতেন;
তাঁর যাবতীয় আনন্দে খেজুর গাছেরা হতো ফলবতী আমারই দেহে
আর দুঃখে হতো দেহের কাঁটার মতো বহুবিধ বেদনার সাক্ষী।
তবু আমার রাসুল এই শরীর বেয়ে বেয়ে মসজিদে নববীতে যান
এই দেহে থাকা সবুজ মিনারে বাজে বিলালের আকুল আজান।
যুদ্ধের ঝঙ্কারগুলো উটের গ্রীবার মতো বারবার মাথা উঁচু করে এই দেহে
জান্নাতের বাতাস আসে শুধু আমারই ব্যাকুল দেহের ভেতর থেকে।
এইসব করে করে একদিন আমারই মাটির বুকে রাসুলের দেহ শুয়ে পড়ে
আমি অনেক ভিজেছি আর অনেক শুকিয়ে গেছি রাসুলের দেহ বুকে নিতে।
তবু আমার রাসুলকে বুকের উপরে রেখে এই মদিনার নাদান মাটি
চিরকাল কেঁদে যেতাম- মানুষ না হয়ে যদি এই মাটি হতাম।
এখনও আমার দেহ ভেঙে দাও প্রভু, মাটির টুকরো করে গুঁড়ো করে দাও
করুণ ধুলার কণিকা করে, ভেঙে যাওয়া এই দেহ জান্নাতুল বাকীতে ছিটাও।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
১৯ মে, ২০২০