এই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কির জন্ম ১১ই মার্চ ২০০৫ খ্রি. লালমনিরহাট জেলার বড়খাতায়। বাবা মোঃ রশিদুজ্জামান একজন চাকরিজীবী, মা নাসরিন আক্তার গৃহিণী। প্রথম লেখা প্রকাশ হয় রেজাউল করিম জীবন সম্পাদিত সাহিত্যের কাগজ মৌচাকে।
‘তরুণ তুর্কি’তে আজ প্রকাশিত হচ্ছে আহমেদ নাফি এর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।
প্রিয় বই: কথোপকথন – পূর্ণেন্দু পত্রী
প্রিয় লেখক: পূর্ণেন্দু পত্রী
প্রিয় খাবার: ডাল, ঝালমুড়ি, রুটি – মাংস
প্রিয় মানুষ: মা
আদর্শ মানুষ: হযরত মোহাম্মদ (স.)
প্রিয় স্থান: খোলা প্রান্তর, নদী
প্রিয় মুহূর্ত: রংপুর জিলা স্কুলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন
প্রিয় কবিতা: আমি সুভাষ বলছি ( শুভ দাশগুপ্ত)
প্রিয় বাক্য/উক্তি: ” The last jacket, has no pocket ” – Alexander The Great, and ” A revelation is not a bed of roses ” – Fidel Castro
যেমন মানুষ হতে চাই: খুব সাধারণ, আদর্শবান।
যে বিষয়টি পীড়া দেয়: জেনারেশনের স্বার্থপর মনোভাব।
আগামীর পরিকল্পনা: প্রথমত পড়াশোনা শেষ করতে চাই। মানুষের কল্যাণে কিছু কাজ করতে চাই, লেখালেখিকে এগিয়ে নিতে চাই, সাথে সাথে ছোট ছোট শখ পূরণের মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ করতে চাই।
এই যে প্রাচীন শহর!
অহংকারীদের নানান অপ্রয়োজনীয় প্রটোকল!
কিংবা তোমার শক্ত চর্বির আস্তরণ,
ফর্সা ধবধবে ত্বক ও চুমুহীন সজীব
গোলাপী-কমলাটে ঠোঁট।
আমি কোনোটাতেই নেই একবিন্দু।
আমি শুধু সাদা কাগজে কবিতা ম্যানুপুলেট করি।
রোজ, গিলি আধ ভাজা পাতার তরকারি!
জড়সড় শরীর একটু মেদ প্রাচীরের,
একদম নম্র আঁচ চায়, একটা হলুদ বিকেলে!
অবশেষে আমি,বাতাসের সাথে বন্ধুত্ব করি,
আমি উড়তে চাই,আমি উড়তে চাই যেকোনো মূল্যে!
কিন্তু হলো না,
মুখে আভাকাডো ফেছপ্যাক লাগানো রূপবতী,
আমার উড়তে চাওয়ায় ‘কর’ বসিয়ে দিলো!
এত এত ট্যাক্স কেটে
শহরটা কংক্রিটে ভরতে চায় ওরা।
কিন্তু, আমি চেয়েছিলাম, রাস্তার কোনো সস্তা,
আবেগ মিশ্রিত দোকানে খিচুড়ি খেয়ে
পরের দিন সকাল সাতটায় মরে যাব!
অনলাইনে কেটেছিলাম পরকালে,
যাওয়ার একটা “ব্লাক” টিকিট!
সাড়ে সাতশো ফানুশের টাকা আমার,
ছিনতাই হয়ে গ্যাছে স্ট্যান্ডে এসে!
এখনো, চুরির দোকানে সাড়ে,
চারশো টাকা বাকি!
আফ্রোদিতি! তুমি সেদিন চুরির বিনিময়ে,
একটা চুমুও আমায় দেওনি!
তোমার ব্যাবসা ‘ফেয়ার’ হয়নি সেইরাতে!
বিজনেসটা হয়েছিল একচেটিয়া ও সুবিধাবাদী!
আমি এখন হতাশ, ক্ষুধার মতো তীব্র!
আমি আফ্রিকার গলিতে,
কেঁদে ওঠা ভুখমিছিলের মত!
আমি এখন সিরিয়ার বক্ষ চেরা শিশুর হৃদপিন্ড!