এই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কির জন্ম ৯ জানুয়ারি, ২০০২ খ্রিস্টাব্দে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পিতা মো. নূরুল আমিন একজন চাকুরীজীবি , মা মোছাঃ হাবিবুন নাজিরা গৃহিণী। প্রথম লেখা প্রকাশ হয় রেজাউল করিম জীবন সম্পাদিত মৌচাক সাহিত্য পত্রিকায়, “তুই কে” কবিতাটি।
‘তরুণ তুর্কি’ তে আজ প্রকাশিত হচ্ছে আহসান লাবিব এর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।
প্রিয় বই: এখন পর্যন্ত কোনো বই প্রিয় হয়ে ওঠেনি। তবে জাভেদ হুসেন অনুবাদিত সাদত হাসান মান্টোর “কালো সীমান্ত” বইটা ভালো লাগে হাতে পেলেই পড়ে ফেলি।
প্রিয় লেখক: প্রিয় লেখকের কাতারে দুজনকে সবসময় উপরে রাখি কাজী নজরুল ইসলাম এবং সাদত হাসান মান্টো (উর্দু গল্পকার)।
প্রিয় খাবার: পাঙাশ মাছে আর ভাতে আমি আহসান লাবিব।
প্রিয় মানুষ: আব্বা আম্মা উভয়েই।
আদর্শ মানুষ: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
প্রিয় স্থান: টাউন হল চত্বর, রংপুর।
প্রিয় মুহূর্ত: তেমন কোনো প্রিয় মুহূর্ত নেই তবে মনে করি যখন মায়ের গর্ভে ছিলাম সেটাই মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত ।
প্রিয় কবিতা: কাজী নজরুলের “বিদ্রোহী” কবিতা।
প্রিয় বাক্য/উক্তি: “সকল নারী বেশ্যা হয় না কিন্তু সকল বেশ্যা’ই নারী এই কথাটা সবসময় মনে রাখা উচিত” – সাদাত হাসান মান্টো
যেমন মানুষ হতে চাই: সহজ সরল এবং নির্বিবাদী।
যে বিষয়টি পীড়া দেয়: আম্মার প্রতি আমার দুর্ব্যবহার।
আগামীর পরিকল্পনা: ঠোঁটে একটা হাসি রেখে বেঁচে থাকতে চাই।
বিশ্বাসে আঘাত হেনে তুমি যে দীর্ঘশ্বাসে আমাকে শিহরিত করলে;
তাতে আমার কোনো দোষ নেই, ক্রটি শুধু একটাই __
আমি নির্বিবাদী লোক।
আমাকে যে চিমটি কেটে তোমার কথা মনে করিয়ে দেয়
সেইও আমাকে হিংসা করে ঠোঁট নিচু করে বলে,
যে আমি এতোটা নিষ্পাপ চোখে তাকিয়ে থাকি কেনো?
আমার চোখের ইশারায় কেন গলে যায় কারাগারের দরজা?
প্রত্যুত্তরে মুখ ভরতি সমাজ বিরোধী গালি নিয়ে
নিঃসংকোচে বলে দেই;
“আমি নির্বিবাদী লোক”।
দু’ পক্ষের ঝগড়ার মাঝেখান দিয়ে আমি নিঃশব্দে হেঁটে যাই
হাতে থাকে একটা জ্বলত সিগারেট এবং ধূসর কুণ্ডলী পাক খায়।
পিছন থেকে তারা নগদ ঝগড়াঝাটি ভুলে বলে ওঠে যে;
“আমি নির্বিবাদী লোক”।
যখন তোমার অভিমান, রাগ, ক্ষোভ আমাকে হা করে গিলে খায়
তখনও আমি নির্বিবাদী লোক।
কোনোকিছুকে খণ্ড করার সামর্থ্য থাকলেও
আমি নিশ্চুপ হয়ে শান্তি লাভ করি।
কাজীর বিদ্রোহী কবিতা প্রতিনিয়ত আমাকে ছুঁয়ে যায়
আমার পিঠে কামড় বসিয়ে দেয়,
রক্তে জাহান্নামের উত্তাপ বইতে থাকে।
আমি আমার সব জিজ্ঞাসা চুকিয়ে দিতে চাই
চুকে যেতে চাই সমাজের বিশৃঙ্খলা থেকে।
হতে পারে তাই,
আমি নির্বিবাদী লোক।
যদি আজ আমি মাথা তুলে দাড়াই
তাহলে কাল হয়তো মাথাটা রাস্তায় গড়াগড়ি করবে।
আমি বাংলার ভাষায় শহিদ হতে চাই
জঙ্গিবাদ কিংবা দেশদ্রোহীর মামলায় ব্রার্স্টফায়ার নয়।
তাই আমি নিজেই নিজেকে বলি;
“আমি নির্বিবাদী লোক”।
আমি কারো বিপক্ষে আঙ্গুল তুলি না।