এই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কির জন্ম ০১/০৭/২০০৪ তারিখে রংপুরের রবার্টসনগঞ্জে। বাবা মো.জাহীদুর রহমাম একজন শিক্ষক। মা মালিহা আক্তার গৃহিণী। প্রথম লেখা প্রকাশ হয় মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ সম্পাদিত তারুণ্যের পদাবলি এর প্রথম সংখ্যায়।
‘তরুণ তুর্কি’ তে আজ প্রকাশিত হচ্ছে নাফিস সাদিক অর্ক এর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।
প্রিয় বই: মহাপৃথিবী (জীবনানন্দ দাশ)
প্রিয় লেখক: সমরেশ মজুমদার
প্রিয় খাবার: চাউলের খুদ দিয়ে রান্না করা বৌখুদি, আধকাঁচা কাঁঠাল সিদ্ধ, কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুঁটকির তরকারী, আর সিঁদল ভর্তা।
প্রিয় মানুষ: আম্মু
আদর্শ মানুষ: আব্বু
প্রিয় স্থান: অন্নদানগরে আমার দাদার ছোটভাই অর্থাৎ আমার ছোটদাদার একটা বাড়ি ছিলো! শিকড়ের বেশীরভাগটাই ওইখানে গাঁথা।
প্রিয় মুহূর্ত: একদিন শীতকাল। কেজি স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষা তখন , একদিনে দুটো পরীক্ষা হতো। সকালে একটা আর দেড়ঘণ্টার বিরতি দিয়ে আরেকটা। ঠিক সেই বিরতিতে আমি, আব্বু, আম্মু কাউনিয়া হাইস্কুল মাঠে রোদে বসে আছি। আমি ভান করছি যেন বইয়ে চোখ বুলাচ্ছি আর আম্মু দুপুরের খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন! পাশে ক্লাসের বন্ধুবান্ধবরাও একইভাবে বসে আছে, হঠাৎ মনে হলো পৃথিবীতে এর চেয়ে অধিক সুখ আর নাই।
প্রিয় কবিতা: আট বছর আগের একদিন
প্রিয় বাক্য/উক্তি: আমি কখনো হারি না।হয় জিতি না হয় শিখি (নেলসন ম্যান্ডেলা)
যেমন মানুষ হতে চাই: দাদার মতো!
যে বিষয়টি পীড়া দেয়: খুবই অমনোযোগী এবং উদাসীন। অনেক কিছু হারিয়েছি এই স্বভাবের জন্য।
আগামীর পরিকল্পনা: আপাতত উপরোক্ত স্বভাব কাটানোর পরিকল্পনা আঁটছি।
কেউ কেউ মরে গিয়ে বেঁচে যায়,
এপিটাফে লেখা জীবনকাল,
কিংবা কালো হরফে খচিত মৃত্যুতারিখ-
হয়তো তার যাপিত যন্ত্রণা বর্ণনা করে না।
তবে বহুবছর ধরে সমাধির চারিপাশে জমা,
শ্যাওলার আস্তরণ ঠিকই আগলে রাখে-
পার্থিব ছলনার অভিশাপ থেকে তাকে,
যন্ত্রণার ধরাছোঁয়ার অনেক বাহিরে।
মানবতা নামের মুখোশের আবরণের নিচে
পৃথিবীর হায়েনার নির্দয় রূপ দেখতে হয় না আর-
খুবলে খায় না সীমাহীন প্রত্যাশার শকুন।
কেউ কেউ মরে গিয়ে বেঁচে যায়,
বেঁচে থেকে মরে না বারবার!