ফজলে রাব্বী সম্ভাবনাময় এক তরুণ ছড়াকারের নাম। ছড়া নিয়েই তার ধ্যানজ্ঞান। ছন্দকে সুনিপুণ শব্দ চয়নে সাবলীল ছড়া লেখায় পটু এই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কির জন্ম ১৮ ই মার্চ রংপুর সদরের আমাশু কুকরুলে। সদ্য এইচএসসি পাশ করা ফজলে রাব্বী স্বপ্ন দেখছেন ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে জয়ী হয়ে পাড়ি জমাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছড়া সংসদ, রংপুরের দপ্তর সম্পাদক, তারুণ্যের পদাবলির সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠনে মু্ক্ত বিচরণ তার। ছেলেবেলা থেকে লেখালেখির অভ্যাস। প্রথম লেখা প্রকাশ হয় সাহিত্য পত্রিকা ছাউনি তে।
‘তরুণ তুর্কি’ তে আজ প্রকাশিত ফজলে রাব্বী র পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।
প্রিয় বই:
আমি পাঠক হিসেবে একদম নতুন। অনেক বই পড়ার সুযোগ হয়নি এখনও। তবে যখন যে বই পড়ি যদি ভালো লাগে আবার কিছুদিন পর পড়ি। তারপর অন্য একটা বই পড়ে ভালো লাগলে তখন আবার ওটা।এভাবেই আমার ভালো লাগাগুলো সময়ের সাথে, বয়সের সাথে পরিবর্তিত হয়। তাই প্রিয় তে আটকাতে পারিনি।
প্রিয় লেখক:
লেখকের ক্ষেত্রেও তাই।
প্রিয় খাবার:
খাবারের সাথে আমার খুবই খারাপ সম্পর্ক। এমনও হয় যে কোনো আত্মীয়ের বাসায় সবাই যাচ্ছে কিন্তু আমি যাব না, গেলেই বাড়তি কিছু খেতে হবে! দুপুর পর্যন্ত আমি কিছুই খাই না এমনকি পানিও না। খাবার জিনিসটাই আমার ভালো লাগে না। তবে চাপে পড়ে মাঝেমধ্যে খেতে হয়, তখন আমি প্রচণ্ড বিব্রত বোধ করি। যেটুকু খাই তার মধ্যে ঝাল জাতীয় খাবারটা বেশি থাকে। ঝাল না থাকলে আমার খুব কষ্ট হয় খেতে।
প্রিয় মানুষ:
প্রিয় মানুষগুলো যতটা বেশি প্রিয় হয় তাদের দেয়া পীড়াগুলো ততটাই বেশি গভীর। নতুন করে কোনো পীড়া পেতে চাই না তাই প্রিয় মানুষের জায়গায় ‘ফজলে রাব্বী’ মানুষটাকে রেখেছি। উনি আমাকে কখনও কষ্ট দেন না। খুব ভালোবাসেন।
আদর্শ মানুষ:
হযরত মুহাম্মদ (সঃ)
প্রিয় স্থান:
টাউন হল চত্বর, রংপুর।
প্রিয় মুহূর্ত:
প্রিয় মুহূর্তগুলো আটকে রাখা যায় না। অতীত হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি ।আমার সুন্দর মুহূর্ত অথচ আমার কাছে নেই। থাক ওসব কথা ভেবে আর মন খারাপ না করি।
প্রিয় কবিতা:
প্রিয় কবিতা নির্ভর করে মেজাজের ওপর। যখন যেরকম মেজাজে থাকি তখন সেসব কবিতা ভালো লাগে।
প্রিয় বাক্য/উক্তি:
“জীবনে যা-ই ঘটুক, বলবেন ও আচ্ছা ” – ইমতিয়াজ মাহমুদ ।
যেমন মানুষ হতে চাই:
একজন সুন্দর মনের মানুষ হতে চাই। এখন যদি বলেন কতটা সুন্দর তখন বলবো, একটি কবিতার মতো সুন্দর।
যে বিষয়টি পীড়া দেয়:
আমার জীবনে তিনটা বিষয় আমাকে ভীষণভাবে পীড়া দেয়। আর এই পীড়ার গভীরতা অনেক বেশি হওয়ার একটি কারণ হলো, নিজের মধ্যে চেপে রাখতে হয়।তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমি এখন অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি এবং আমার বিশ্বাস আগামীতে অনেক বেশি শক্ত হবো। অনেক…
আগামীর পরিকল্পনা:
আমার আগামীর পরিকল্পনা বলতে, ছড়া নিয়ে কাজ করতে চাই। এর মধ্যে শিশুসাহিত্য, কিশোর কবিতা, সমকালীন বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।
নিজের লেখা বাছাইকৃত একটি ছড়া:
প্রিয় দেশটা
ফজলে রাব্বী
আমার প্রিয় দেশটারে ভাই
হরেক রঙে তো গড়া
গাছপালা আর পাখপাখালি
স্নিগ্ধ রূপে সে ভরা।
অপরূপ এই দেশটা যেন
অকৃত্রিম ছবি আঁকে
শস্য শ্যামল বন বনানী
সবুজেই ডুবে থাকে।
আমার দেশের নদীর বুকে
পাল তুলে নাও যায়
বটের ছায়ায় রাখাল বালক
বংশীতে গান গায়।
সেই রাখালের মধুর সুরে
মন যেন উদাসীন
ভালোবেসে এই বাংলা মাকে
কেটে যায় নিশিদিন।