এই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কির জন্ম পহেলা জানুয়ারী, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর সদরে। বাবা মো. রশিদুজ্জামান একজন চাকুরীজীবি, মা-গৃহিণী। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ্ সম্পাদিত তারুণ্যের পদাবলীতে।
‘তরুণ তুর্কি’ তে আজ প্রকাশিত হচ্ছে রেজওয়ানা রিশতা এর পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো।
প্রিয় বই: Metamorphosis – Franz Kafka
প্রিয় লেখক: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হেনরি রাইডার, জীবনানন্দ দাশ, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, হেলাল হাফিজ, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়।
প্রিয় খাবার: ডালের বড়া দিয়ে মাছের ঝোল, বড়ইয়ের আচার।
প্রিয় মানুষ: আমার বাবা।
আদর্শ মানুষ: মানুষ হিসেবে আদর্শিক কাউকে এখনো চিনে উঠতে পারিনি। তবে কিছু কিছু মানুষের কিছু দর্শন অবশ্যই ভালো এবং অনুকরণীয় বলেই মনে করি।
প্রিয় স্থান: আমার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ (হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)
প্রিয় মুহূর্ত: নিজেকে কোন কিছুতে সফল হতে দেখা।
প্রিয় কবিতা: পূর্ণেন্দু পৈত্রীর কথোপকথন বইটির ২১ নম্বর কথোপকথন।
প্রিয় বাক্য/উক্তি: To know thyself is the beginning of the wisdom -Socrates.
যেমন মানুষ হতে চাই: নিজের মতোই।
যে বিষয়টি পীড়া দেয়: যে পীড়াটাকেই প্রকাশ করতে পারিনা, সেটা পীড়া দেয়।
আগামীর পরিকল্পনা: লিখবো, লিখেই যাবো।
আমি দেখি নাই এমন জাহান্নাম
যেইডার মধ্যে আগুন কি না নহর হইয়া ঝরে!
এইরকম একখান জাহান্নাম, আমি চোখের মইধ্যে পুষি।
আমার শরীর জুইড়া কি যে বিষাক্ত গাছে তেতো ডালপালা,
আমি শুনি নাই, এমন ও কোন মানুষ পিরিত রে আকড়াইয়া ধরে গাছের মতোন।
আমি দৌড়ায় দৌড়ায় গেছি,
ছোট্ট ফুলের শহরে,
নরক থাইকা দূর ভাইবা,
আবারো ঘুইরা পড়ছি পুলসিরাতের মঞ্চে।
শব্দ পুইড়া ছাই হইছে,
ধোঁয়ার প্যাঁচে সাত ঘূর্ণীর উপরে বেহেশত,
তার উপরে বইসা থাকে ঈশ্বর নামের প্রেমিক,
এতো এতো দূর পথ যাইতে পারি না।
তার আগে হাত পা কাইটা পইড়া যাই
নরকে, পাতালে, অতলে, শূন্যতায়!
বেহেশতীরা, উপর থাইকা আহ উহ করে,
জিগাইতে চায়,
চোখে জাহান্নাম নিয়া ঘুরি ক্যান!
আমি নিজেরে শোনাই,
ওই ঈশ্বরের গথিক দালানেও একচেটিয়া রাজনীতি,
কদর সব কিছুর আছে, তয় সাচ্চা মন কদরের জিনিস তো না!
নকশাল হবি, মশাল ধরবি?
কী লাভ! দালানের পরে দালান তুলে দেবে ঈশ্বর!
শুধু আমার পেটের ভিতর অস্থিরতার প্রজাপতি গুলান উড়তে থাকবো!
এমন কইরাই পাড় হইয়া যায় একখান জীবন, যেটা জাহান্নামের মতোন।
কাঁচা মাংসের ঝুড়ির পাশে পইড়া থাকে, শেকল পরানো হাত, তার পাশে অসুন্দর সত্য মন।