জাগতিক নিয়ম তুচ্ছ করে
তুমি না’হয় একটি দিন এসো,
বিষণ্ন বিকেল রাঙিয়ে দিয়ে
খানিক ভালোবেসো_
তুমি না’হয় একটি দিন এসো!
মান-অভিমান ভুলে গিয়ে
আমার ধূলোই মলিন এ শহরে
একটু পাশে বসো
বুকের ভেতর ঝড়তুলা সেই
মোহিনী হাসি হেসো।
তুমি না’হয় একটি দিন এসো!
এক জনমের না’বলা কথা
অব্যক্ত সেই বুকের ব্যথা
বলবো তোমায়_
একটু না’হয় শুনে যেয়ো?
তুমি না’হয় একটি দিন এসো!
জাগতিক নিয়ম তুচ্ছ করে
তুমি না’হয় একটি দিন এসো!
তুমি এলেই সেরে যাবে
বিষণ্নতার সব অসুখ।
নিঃসঙ্গতায় মরে যাচ্ছে মানুষ
আজকাল ঘুম ভাঙে এমন নির্মম সংবাদে!
এইতো গত পরশু সৈকত ছেলেটা চলে গেলো
তাও আবার আত্মহত্যা,নিজেকে মুক্তি,
আসলেই কি মুক্তি?
সদাহাস্যজ্বল মুখ,গম্ভীর কণ্ঠস্বরে কথা বলতো
দেখা হলেই বুকে টেনে নিয়ে কুশল বিনিময়
কে জানতো ওই বুকে লুকানো ছিলো এতটা ক্ষত!
এসব ভাবতে ভাবতে অনুভূত হলো
কতটা জাগতিক যন্ত্রণায় নিজেকে নিয়ে যাওয়া যায় মৃত্যুর দুয়ারে!
প্রিয়তমা আমার
তুমি কি মর্মাহত হবে আমার এরকম একটা
মৃত্যুর সংবাদে?
অথচ পৃথিবীর কিছু আসে-যায় না
কবিদের মৃত্যুতে শোকাহত হওয়ার কিছু নেই
এরা তো মরে যায় বহুবার,
ঘুরে আসে মৃত্যুর দুয়ার থেকে।