প্রিয় দূর প্রাচ্যের প্রেমিকা,
জানি প্রতিত্তরে কোনো চিঠি আসবে না, তাই জিজ্ঞেস করছি না কেমন আছেন। আর জানতে না চেয়ে কোন মুখেই বা বলি আমি কেমন আছি।
কখনো যাব না ভেবেও গত সপ্তাহে আপনাদের গলিতে গিয়েছিলাম দীর্ঘদিন পর। হাজারী-নাগের বইয়ের পৃষ্ঠায় আর কখনো শিউলি এক্সপোর্ট করব না যে ব্যালকনিতে, সে ব্যালকনি ধ্বংস হয়ে যাক। তাতে আমার কী! এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল অথচ পুরোনো ব্যালকনিটা দেখতে না পেরে ক্যান যে মন খারাপ লাগল বুঝলাম না। এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে এভাবে ভেঙে ফেলা অবশ্যই পাপ। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। চাইলে আপনিও আমার সাথে একাত্বতা ঘোষণা করতে পারেন। কোনো বৈশাখের ঝড়ে স্কাই ভিউয়ের লিচু গাছটা উপড়ে গেলে হয়তো এই অস্বাভাবিক দুঃখবোধটা আবার কাজ করতে পারে। সে করুক!
এ তো গেল আপনার এলাকার খবর।
শিউলি আর বকুলের তালিকায় আমি আরও একটা ফুল যোগ করেছি।
না, কাঠগোলাপ না।
হাসনাহেনা ! ঠিক কী কারণে জানি না। উঠোনে চার পাঁচটা হাসনাহেনার ডাল পুঁতেছিলাম দুবছর হলো। এবারই প্রথম ঘামাচির মতো থুকথুক করে এত ফুল ফুটেছে। হাসনাহেনার কী যে দারুণ ঘ্রাণ! আর হবেই না বা কেন! হাসনাহেনা শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষার শব্দ থেকে।
জাপান?
হ্যাঁ দূর প্রাচ্যের দেশ।
দূঊঊঊর প্রাচ্য!
সিক্সটি ওয়ান মিউচু্য়্যালে থেকেও এতটা দূরত্ব আপনার ‘জাপানি’ নামকে সার্থক করেছে।
ফিফটি সিক্সয়ের পর অনেকদিন দেখতে পারিনি কতদূর এগোল! এখন পাচ্ছি। এ অবশ্য আপনারই করুণা। সে কারণে একটা ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
এত্তবড় থ্যাঙ্কিউউ…
সে যাই হোক, একটা চিঠি লেখার সুযোগ পেয়ে বেশি বেশিই বলে ফেলছি হয়তো। এবারে শেষ করা উচিত।
ভালো থাকতে বললেই যদি ভালো থাকা যেত তাহলে অবশ্যই বলতাম ভালো থাকতে।
ইতি
আপনার প্রাক্তন প্রেমিক