মূল : ক্রিস হেমেন্সলে
ভূমিকা ও ভাষান্তর : রেজাউল ইসলাম হাসু
মিশরীয় মা আর ইংরেজ পিতার চুম্বনে যুক্তরাজ্যের আইল অফ ওয়াইটে ২৬ এপ্রিল, ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণকারী কবি ক্রিস হেমেন্সলে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায় বেড়ে ওঠেন। যেখানে তাঁর বাবা রয়েল এয়ার ফোর্সের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৬ সালে হেমেন্সলে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। মেলবোর্নে তিনি রেডিও সম্প্রচারক ও সাহিত্যের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন এবং আওয়ার গ্লাস , আর্থ শিপ , দ্য ইয়ার ইন এ হুইটফিল্ড এবং দ্য মেরি ক্রিক বা নেরো সহ বেশ কয়েকটি সাহিত্যপত্রিকা সম্পাদনা করেন ।
তিনি প্রায় বিশটিরও বেশি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : দ্য গোয়িং অ্যান্ড আদার পয়েমস (১৯৬৯), ডমেস্টিকেশনস : এ স্লিকেশন অব পয়েমস ১৯৬৮–১৯৭২ (১৯৭৪) এবং ট্রেস (১৯৮৪)। তাঁর গদ্যের মধ্যে রয়েছে দ্য রুমস অ্যান্ড আদার প্রোজ পিচেস (১৯৭৫) এবং নো ওয়ার্ড, নো অরি : প্রোজ পিচেস ১৯৬৮–১৯৭০ (১৯৭১)।
হেমেন্সলের গীতি কবিতাসমূহ প্রকৃতি এবং ব্যক্তিসত্তার মধ্যে এক ধরনের অন্তর্গত আচ্ছন্নতা। অস্ট্রেলিয়ার দ্য এজ পত্রিকার কোনো এক সাক্ষাৎকারে হেমেন্সলে ‘তাকে লেখার জন্য কোন অনুষঙ্গগুলো প্রণোদিত করে’ সে সম্পর্কে বলেছিলেন,
‘একটি সৃজনশীল সত্তা, পেশাদারিত্বতা, প্রয়োজনীয়তা ও অবস্তুগত কর্মপথ’
তিনি ২০০৪ সালে ক্রিস্টোফার ব্রেনান পুরস্কারে ভূষিত হন।
(রবার্ট গ্রে’কে উৎসর্গিত)
নিভু নিভু আলোয় অন্তরীণ,
অদৃশ্য রিলকের জানোয়ার ধৃতিমান;
এই দিক স্বর্গের।
বহুবর্ষজীবী সবুজ
নাকি ক্ষণজীবী রঙের কুহক—
হে মনোবন, বলো—কে পর্যাপ্ত?
পাতায় পাতায় লালের প্রপাত,
রঙিন পালে মিহিন ধূসর, আকাশের হুমকি—
হোই! কাঁদে নীলনদ।
এই সবুজ অপেক্ষায়—
পাতায় পাতায় স্ফূরিত হবে পাখিদের কম্পন, তারপর
মর্মরে ঝরবে—পরম্পরায়!
তরুণ লেখক
জন্ম : ১৯৮৭ সাল, রংপুর।
প্রকাশিত বই দুইটা।
এক. ওকাবোকা তেলাপোকা (২০১৬) -শিশুতোষ
দুই. এলিয়েনের দেশ পেরিয়ে (২০১৭)-শিশুতোষ।