এ তো বারণ নয়, নয় কোনো নিষেধাজ্ঞা
এ যেনো জীবন – মরণের মধ্যেখানে
কালের অভিশপ্ত মৃত্যুরোল করোনা।
ঘরে ঘরে নিরবিচ্ছিন্নতার আত্মযুদ্ধ
বেঁচে থাকবার অদম্য চেষ্টার সচেতনতা
থমকে যায় জীবন যাত্রা ; আন্তরিক বার্তা
সৌজন্য – সৌহার্দ্য যতো ভালোবাসা
শব্দ বাগানের শব্দ চাষাবাদে ফসল নেই
কবিতারা মৌন- নীরব – নিশ্চুপ।
এ কোন মানবতার শত্রু এসে
থমকে দিল সুতোয় গাঁথা কথামালা
চারদিকে নিরব – নিশ্চুপ ঐক্যবদ্ধতা নেই
রবি তুমি বলেছিলে – কোন সে কষ্টের মায়ায়
“ তোর ডাক শুনে যদি কেউ না আসে
তবে একলা চলো, একলা চলো রে-”
আজ সত্যি সারা বিশ্ব যেনো একাকী পথযাত্রী
আমরাও আপন নির্বাসনে নির্বাসিত ।
চারদিকে গোপন আয়োজনে মৃত্যুর পরওয়ানা
আপনজন – পরিজন ; আতংক জর্জরিত
কেউ নয় যেনো কারো পরিচিত স্বজন
আর নীরব থেকো না প্রভু ; তুমি তো সুক্ষ্মদর্শী
তুমি অনুগ্রহকারী – আয়ত্বকারী ; তুমি প্রতিরোধক
তুমি পারো সারা বিশ্বের মানুষ আর করোনার মধ্যেখানে
দয়া আর রহমতের পর্দার আবরণ দিতে
যা ভেদ করে মানুষের শরীরে আর কখনো
প্রবেশ করতে পারবে না করোনার নিষ্ঠুরতা।
ক্ষমা করো প্রভু ; ক্ষমা করো
মানবীয় বন্ধন রক্ষা করো, অভিসম্পাত থেকে মুক্ত করো
ভুল করে যদি আমাদের এই ছোট্ট মনে
অকৃতজ্ঞতা – অহংকার আর স্বার্থপরতা আসে
ক্ষমা করো ; ক্ষমা করো প্রভু ; ক্ষমা করো..।