নিজের শরীরে ব্লেড লাগিয়ে দেখো…
আজও কি ঝরে কোনো বিশুদ্ধ রক্ত?
ঘোমট রাতের নিস্তব্দ নগরীর দরজায়-
কখনো কি হায়েনার ডাকে কান পাতো?
কালো রাতের পাতায় লাল রক্তের ইতিহাস—
চতুর শিয়াল আর অপ্রস্তুত নেকড়ের লড়াই;
বিশ্বাসঘাতকতার আসলে নেই কোনো আভাস!
ঈগলের মতো উড়ে যাবে নেকড়েদের আত্মা—
তবুও,পরাজিত হবে না এই হলো তাঁদের বড়াই!
হায়েনাদের সুযোগ আসলে-তারা করে গণহত্যা,
আরে আজ তো চারিদিকে শুধু শিয়ালের সরদারি
নেকড়েরা হয়তো হয়ে গেছে বিলুপ্ত নতুবা সুপ্ত।
নয়তো তারা পালন করছে সিংহের কড়া খবরদারি
যদি পুনরায় আসে কালো বুটের ঘটঘট শব্দ।
যে কৃষ্ণ-রাতে শহর পতিত হয়েছিলো অরণ্যে,-
একদল শকুনও কি এসেছিলো খুব প্রভাতে?
দীপ্তিময় শিখা,-আর জ্বলে না কোনো তারুণ্যে—
ভানুর কিরণ-,জ্বলেছিলো তাদেরই হস্তে।
জানা নেই কার জন্যে লিখতে পারি বাংলা কবিতা,
যাদের জন্য লিখতে পারি তাদের জানাই শ্রদ্ধা।
অথচ দিবস ব্যাতিরেকে বাজে শুধু তাদেরই গান,
আমাদের তবু ঠিকঠাক এখনো বাংলা শিখায় না।
যাদের কারণে এখনো লিখতে পারি-
বাংলা ভাষায় কবিতা,তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
তাদের সুরে তাল মেলানো আজান,-
বয়ে এনেছিলো আমাদের চির কল্যান।
তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা-
একাত্তরের আগষ্টে যারা—
বাজি রেখেছিলো নিজের প্রাণ।