মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

পজেটিভ প্যারেন্টিংঃ সন্তান লালন-পালনের ইতিবাচক কৌশল

সিরাজুম মনিরা

৯ মার্চ, ২০২০ , ৭:৫০ অপরাহ্ণ

monosamajik pramorsho

পর্ব-১

বর্তমান সময়ের সকল পিতা মাতার (Parent) একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা হলো কীভাবে সন্তান লালন-পালন করবো? কী করলে সন্তানটি একজন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে? এ ধরণের নানান প্রশ্ন বর্তমান সময়ের সব পিতা-মাতার মনে ঘুরপাক খায়।

সমস্যা হলো আমরা যে সময়ে এবং সমাজ ব্যবস্থায় বড় হয়েছি এবং যেভাবে আমাদের পিতা মাতা আমাদের লালন পালন করেছে সেই সময়ের থেকে বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া সন্তান লালন পালনের মত একটি জটিল বিষয় সম্পর্কে আমাদের কোন পড়াশোনা নেই বললেই চলে। আমরা মূলত শিখছি কীভাবে আমাদের লালন পালন করা হয়েছে, অন্যের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের মত করে একটি উপায় বের করছি। এই উপায় কখনও সফল হচ্ছে কখনও আবার ব্যর্থ হচ্ছে।

এখন যদি আমরা জানতে চাই কীভাবে ইতিবাচক উপায়ে আমার সন্তানকে পালন করবো? তবে তার আগে জানতে হবে আমি কোন ধরণের প্যারেন্ট বা পিতামাতা।

সাধারণত ৪ ধরণের প্যারেন্ট বা পিতামাতা রয়েছে।

১। কর্তৃত্ববাদী/ কঠোর পিতামাতা (Authoritration)

২। যত্নশীল পিতামাতা (Authoritative)

৩। অনুমতিমূলক পিতামাতা (Permissive)

৪। উদাসীন পিতামাতা (Neglectful)

এই চার ধরণের পিতা মাতার বৈশিষ্ট্য এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অন্য একটি লেখায় লিখবো।

আজ মূলত কিছু টিপ্স দেব সন্তান লালন পালনের ইতিবাচক কৌশল বিষয়ে।

১. আপনার সন্তানকে জানার ও বোঝার চেষ্টা করুন। তার চাহিদাগুলো কী কী তা জানার চেষ্টা করুন।

২. তার সাথে খোলামেলা কথা বলা চেষ্টা করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

৩. সন্তানের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

৪. একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সন্তানের জন্য কিছু নিয়মনীতি ঠিক করে দিন।

৫. সন্তানের সাথে গুণগত সময় কাটান। তার সাথে খেলাধুলা করুন, ঘুরতে যান, গল্প করুন।

৬. মনে রাখতে হবে সন্তানকে ভালো আচরণ শেখাতে চাইলে আগে নিজেকে ভালো আচরণ প্রদর্শন করতে হবে।তাকে ভালো আচরণে উদ্বুদ্ধ করুন, মনোযোগ দিন, প্রশংসা করুন এবং পুরস্কার দিন।

৭. কোন কারণে সন্তান খারাপ আচরণ করলে সেদিকে বেশি মনোযোগ না দিয়ে শান্তভাবে বোঝান। কখনোই যেন সে খারাপ আচরণে পুরস্কার না পায়।

৮. বর্তমান সময়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সন্তানের জন্য মোবাইল ফোন চালানো, টেলিভিশন দেখা, ল্যাপটপ চালানোর সময় নির্ধারণ করুন।

মোট কথা, আপনার সন্তানকে ভালোবাসুন, উৎসাহ দিন, প্রশংসা করুন এবং সন্তানের সামনে তার রোল মডেল হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন।

 

সিরাজুম মনিরা,

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর।

চেম্বার: রিদম ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনোস্টিক সেন্টার (ধাপ আট তলা মসজিদের পশ্চিমে)

সিরিয়াল: ০১৭৭৭৩৩৭০৮৯

সিরাজুম মনিরা