অভি আর খেয়ার ভালোবাসার ছোট্ট আপন নীড় তাদের ছোট্ট সোনা আরিজ কে নিয়ে।
অভি পেশায় বাংলাদেশ আর্মির একজন সিক্রেট এজেন্ট, দেশকে সুরক্ষিত রাখাই তার মূল কাজ, দেশদ্রোহীকে ক্রসফায়ার করতে একটুও হাত কাঁপেনা তার। অন্যদিকে খেয়া পেশায় চিকিৎসক, তার লক্ষ্য বন্ধু-শত্রু বিবেচনায় না রেখে মানুষকে বাঁচানো।
ঈদের চাঁদ উঁকি দিয়েছে, কাল ঈদ। আরিজ বায়না ধরেছে আতশবাজির জন্য, পাড়ার ছেলেমেয়েরা হই-হুল্লোড় করে আতশবাজি ফোটাচ্ছে।
হঠাৎ অভির ফোন বেজে উঠলো তাকে এখনই সিক্রেট মিশনে যেতে হবে, গোপন সূত্রে জানা গেছে কাল ঈদের বড় জামাতগুলোতে বায়োলজিক্যাল বোম ব্লাস্ট করা হবে, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে। অকস্মাৎ অজানা ভাইরাসজনিত রোগে মারা পড়বে অগণিত মানুষ। অভিকে যে করেই হোক এ বায়োলজিক্যাল বোম্ব খুঁজে বের করতে হবে, কোনভাবেই ব্লাস্ট হতে দেয়া যাবেনা।নাহলে যে নামাজ শেষে সবাই ঘরে ফিরে নিজের অজান্তেই পরিবারের মাঝে ছড়িয়ে দিবে এ ভাইরাস।
আরিজের আবদার রাখতে অনেক কষ্টে খেয়া আর অভি এবার ঈদে ছুটি নিয়েছিল, বাচ্চাটার সাথে একটি ঈদও করা হয়নি তাদের।
খেয়ারও ফোন আসে ছুটি বাতিলের জন্য, তাকে ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিমে টিম লিডারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দেশে বিশাল এক মহাবিস্ফোরণ হবার আশঙ্কা রয়েছে, অকস্মাৎ আক্রান্ত হতে পারে লাখ লাখ মানুষ। বাঁচাতে হবে প্রতিটি প্রাণ কোন রকম ভেদাভেদ ছাড়াই।
আরিজ বায়না করতেই থাকে। ওর কথায় কান নেই অভি বা খেয়ার। আজ সবগুলো শয়তানকে মেরে ফেলবে অভি, মাথায় রক্ত উঠে গেছে তার।তার সোনার দেশ, তার দেশের মানুষকে শেষ করে দিতে চায় তারা!
খেয়া ভাবছে যেভাবেই হোক বাঁচাতে হবে সকলকে, হোক না সে দেশদ্রোহী কিংবা বিদেশী এজেন্ট।
দুরকম ব্রত নিয়ে অভি আর খেয়া তাদের আপন নীড় থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে বেরিয়ে যায় পেশার তাগিদে…..
পিছনে পরে থাকে আরিজের বায়না আর অবিরত কান্না..।
মোস্তারী বেগম মিতা
লেখক ও চিকিৎসক
রংপুর।