কবি আমি অপভ্রংশ
আমি জিন্স পাঞ্জাবি পড়ে কবিতা লেখা শিখে গেছি
ক্ষয়ে যাওয়া স্যান্ডেল শব্দ তৈরি করে না
বরং বেদনাকে জাগিয়ে তোলে,
ডাইরির ভাঁজপাতায় লুকিয়ে রাখা লুকোচুরি
ভুলে যাওয়া সংখ্যার মতো আর্তনাদ করে
তোমার জমিয়ে রাখা জলসা ঘর শ্যাওলা বন্দি,
আমি রাত জেগে জেগে ভাবি তোমার ইনবক্সের ইতিহাস
তবু একমুঠো রাত আমাকে দিও
আমি সাইকেলের বেলের শব্দ শুনে ভাবি
রাস্তা এখনও রাতের প্রহরীদের প্রলাপ শোনে,
আমি রাতের কারফিউ জেনে ভেবেছিলাম
আবার কি দুমুঠো শব্দে ফুঁ দিয়ে ভাবতে হবে
সব কথা পকেটের ভাঁজে জমা থাকে না
কেউ কেউ অকারণে ভালোবাসে
রাত নয় আমাকে
আমি রাত হতে চাই, অন্ধকারে লুকিয়ে রাখা জোনাকি
তবুও তোমার দেওয়া শর্তমালা বিনাশর্তে চুরি হলে ভাবি
এসব কবিতা নয়, বরং চুরিরই এক অনভ্যেস গাঁথা ।
——————————————————————
শহর নামক ছেঁড়া পাতা
শহর নামক ছেঁড়া পাতা আমার বাতুলতার মূল্যহ্রাস
আমি কাঠগোলাপ দিয়ে কিনতে চেয়েছি
তোমার হাত বদলানোর ভুভুজেলা
হর্ষধ্বনি হ্রাস করো, আমিও জুতোর রং বদলে নিয়েছি
চামড়া কাটতে কাটতে আমি এখন চামড়াজাত বস্তু
এ কথা লিখে রাখো রাতের নিয়ন বাতির বিলবোর্ডে
আমিও জোনাকীর আলো জমিয়ে রেখে ভেবেছি
তোমার কাছে ছিড়ে নিবো এক টুকরো শহর
তারপর……
তারপর আমরা এ শহরেরই আদিম অ্যাডাম এবং ঈভ।