ভায়োলিন বাজানো মেয়েটি গভীর রাতে
দুঃখ সরোবর থেকে বেদনার সুর তুলে,
যেন কোনো আদিম জিপসী অবিরত হাঁটছে
নিঃস্ব হয়ে নিঃসঙ্গতার মরুভূমিতে
হয় বেদনায় নয়তো মৃত্যু কামনায় ,
তারপর ভায়োলিনে বেজে ওঠে অপেরার অপরাহ্ন সুর
আইনস্টাইন তাঁর অমিমাংসিত সমস্যার সমাধান খোঁজে
আমরাও মিমাংসাহীন বাউন্ডুলে
মেয়েটির ঝাঁকড়া চুল দেখে ভাবি
সেও আমাদের দলে,
নিঃসঙ্গতা পান করে ভুলে যায় রাতের অভিমান
কিংবা সেই বৃদ্ধ নাবিকের মতো হঠাৎ বলে ওঠে,
একদা এক জাহাজ ছিলো
যার মৃত্যু হয়েছিলো মিথ্যে কোনো প্রতিশোধে;
তবুও মৃত্যুই সত্য,
তাই মেয়েটি মৃত্যুর মতো করে সুর তুলে
আর আমরা অবাক হয়ে তার সক্ষমতা অনুধাবন করি,
ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করি,
সে যেন মৃত্যু নয়; বরং দ্বিতীয় জীবন লাভ করে।
গতকাল আমি আমার কবরের পাশে কিছু পাথর স্তুপ করেছি,
তারপর ভেবেছি কোনো পবিত্র দিনে তা খোদাই করবো,
পাথরে খোদিত হবে তোমার পবিত্র নাম,
আমাদের রাত জাগা গল্পের শিরোনাম
আমরা সর্বদা পবিত্র থাকতে চেয়েছি
তবুও কিছু কুসুমের মতো পাপ আমাদের প্রলুব্ধ করে
আমরা অ্যাডাম এবং ইভ হয়ে উঠি;
থাক সেসব কথা, আজ হলি ফ্রাই ডে
আমরা পবিত্র হয়ে উঠি
প্রার্থনায় বসে নিজেকে শুদ্ধ করে নিই
তারপর বিকেল বেলায় এক টুকরো রোমান্স খেয়ে
রাতে অতি ক্লান্তিতে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বো।