“প্রিয় আকাশ ”
জীবন টা মাঝে মাঝে এতো ভালো লাগে কেন, তাই ভাবছি। সবুজ বসন্তের মাতাল হাওয়া বুকটা ভারী করে তুলছে বার বার। আজ ২০ বছর পরে হটাৎ করে মনে পরছে তোমার কথা। বার বার মনে পরছে। মনের একটা বিশেষ জায়গায় দখল নিয়ে তো আছোই তুমি সেই বাল্য বেলা থেকে। তবুও আজ কেন আমার এমন লাগছে। মনটা উথাল -পাথাল করছে। তুমিও কি ভাবো আমাকে বা কখনো ভেবেছো আমার কথা?
অবাস্তব প্রশ্ন করে ফেললাম তোমায়।সেই বাল্যবেলা থেকে আজ অব্দি জানলেই না যে,আমি তোমাকে ভালোবাসি!
আমারও ছোট্ট মনটা তোমাকে চাইতে পারে, তোমাকে পাবার আশা থাকতে পারে। তোমার কামনা -বাসনা কে মনের মধ্যে লালন করতে পারে। কেন বুঝনি তুমি কেন কেন কেন?
জানো কতবার কতো চিঠি লিখেছি তোমাকে, কিন্তু দেয়া হয়ে উঠে নি মানে দিতে পারি নি।তোমার সামনে গেলে এলোমেলো হয়ে যেতো সব।তাই লজ্জায় ছিঁড়ে ফেলতাম। আবারও লিখতাম অনেক সাহস নিয়ে, তোমাকে দেবোই দেবো কিন্তু পারতাম না। কতবার চিঠি লিখে পোস্ট অফিসে পোস্ট করতে গিয়ে ওখানেই ছিঁড়ে ফেলেছি,তুমি তখন মেডিকেলের হোস্টেলে ছিলে ঠিকানা টা পেতে আমার কষ্ট হয়েছিল একটু।
আমি কিছুই যখন করতে পারি নি, তখন শুধু তোমার আসাযাওয়া টা দেখেছি আর বুক ভরে কেঁদেছি কারণ কান্না ছাড়া আর কিছু করার ছিল না আমার।
তুমি দ্বাঁরিয়ে থাকতে নারকেল গাছের নিচে আর তার পাশ দিয়ে ছিল আমার আসাযাওয়া ঐ টুকনি পাওয়া ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া এর বেশি কি বা চাইতাম তোমার কাছে।
প্রতি শুক্রবার ছিল তোমার আসবার দিন আর আমার প্রতিক্ষার সময়।
২০ বছর পর তোমার সাথে দেখা হলো কথাও হলো।গল্পে গল্পে বললে আমার দুই বেণী করে লাল জামা পড়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা,কতো চুল ছিল আমার, চোখের কাজলটাও খেয়াল করেছিলে খেয়াল করতে পারোনি শুধু আমার মনটাকে।
মনটা যে সবসময়ই তোমার জন্যই বিচলিত ছিল।
আজও মনটা তোমাকেই খোঁজে তোমাকেই ভালোবাসে।
আমার বলতে না পারা ভালোবাসা তুমি আজ কেমন আছো খুব জানতে ইচ্ছে করে।
অন্তর অনুভূতির এই প্রকাশ বেদনা অনেকটা ছাঁই চাপা আগুনের মতো সুযোগ পেলেই তা জ্বলে উঠে। আত্মপ্রকাশের নানা পথের মধ্যে এই চিঠি একটি অন্যতম মাধ্যম। সময় সতত প্রবাহমান।পরিশেষে বলি তুমি কেমন আছো খুব জানতে ইচ্ছে করে যদিও আমি তো তোমার ছিলাম না…..
ইতি —
মনি