ভীষণ ভাংচুরে আমি—
ছেলে বেলায় প্রিয় খেলনাগুলো ভেঙ্গে ফেলতাম,
পুতুল, পিস্তল কিংবা গাড়ি ভেঙ্গে গভীরের সন্ধান করেছি প্রতিনিয়ত৷
ভেঙ্গে ভেঙ্গে অবশিষ্ট থেকে যেতো একটা স্ক্রু অথবা বল্টু৷
এরপর আর বিভাজিত না করার যাতনা অস্থির করতো আমায়৷
তখন বুঝিনি এর চেয়ে বিভাজ্য হয়না কিছুই
যেমন পদার্থকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অণু, পরমাণু কিংবা ইলেক্ট্রন, নিউট্রন, প্রোটন-এ থেমে যায় পদার্থবিদ;
বায়োলজিস্টরা থেমে যায় প্রাণের উৎস প্রোটোপ্লাজমে এসে৷
তবুও আরো ভাঙ্গতে চাই ভাঙ্গচুড়ে আমি—
প্রথা ভাঙ্গি, সমাজ, বিধান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বাদ দেইনা কিছুই৷
নারীর হিজাব থেকে ব্লাউজ, তারপর শাড়ি
অথবা বানাতে চাই টপলেস;
প্রথা ভাঙ্গবোই বলে—
ভাঙ্গচুড়ে আমি ভেঙ্গে ফেলি
কবিতার পংক্তিমালা, শব্দ চয়ন,
আবৃত অঙ্গের বাহুল্য ব্যবহার৷
আমি মানি না শ্লীল-অশ্লীলতার কাঠামো!
অতপর আফ্রিকার গহীন অরণ্যে বসবাসরত গোষ্ঠীভিত্তিক টপলেস সমাজের ছবি দেখে
আঁতকে ওঠা আমি বলে উঠি অসভ্য.,.
মনের অজান্তেই নিজেকে দৈতস্বত্ত্বার অধিকারী মনে হয়৷
যে মানদন্ডে কাউকে অসভ্য বলছি অথচ আমি সভ্যকে অসভ্যতার আবরণে আবৃত করছি নিত্য৷
জেগে ওঠে স্বাশত সত্য, মানবিক চেতনা৷
ভাঙ্গার শেষ বিন্দুতে গিয়ে আর
ভাঙ্গা যায়না কিছুই৷
ইচ্ছে করলেও নয়৷
নিজেকে ভাঙ্গচুড়ে বানালেও
সমাজ ভাঙ্গচুড়ে নয় কখনো৷
(লেখক কর্তৃক আপলোডকৃত। অসম্পাদিত)