কানের কাছে চুপি চুপি কথা বলার আকর্ষণ ছাড়ে না মৃত্তিকার। সৃজন ধমকের স্বরে বহুবার সরে যায় মৃত্তিকার কাছ থেকে একবার পড়েই দেখো.. মিনতির সুরে মৃত্তিকার মিনতি। মন্দ লাগছে না। সৃজনের পাষান হৃদয়ও গলে জল হয়ে যায় ভাষা আন্দোলন দেখেনি মেয়েটি। দেখেনি স্বাধীনতার লড়াই। মায়ের কাছে শেখা বুলিতে বলতে শিখেছে ভাষা। শুনেছে ত্যাগ ও তিতিক্ষার কথা ভালোবেসে কত সহজে মানুষ নিজেকে উৎসর্গ করে দেশের জন্য, মায়ের জন্য, প্রিয়জনের জন্য আত্মত্যাগ যেন মেয়েটির মনে সারাক্ষণ প্রশ্নের ঝড় তোলে মেয়েটি ভাবতে থাকে নিজেকে যোদ্ধা হিসেবে। মিলিয়ে নেয় নিজেকে আত্মত্যাগী হিসেবে।
খুব ভালোবাসত সলিল নামের ছেলেটিকে। সলিলকে কাছে পাওযার আবেদন যেন শেষ হয় না। শেষ হয় না বুকের ভিতর জমিয়ে রাখা ভালোবাসাটুকু। শরীরের ভাজে প্রতিটি চুম্বনের স্পর্শ কামনায় রূপ নেয় নিত্য দিন নিত্য রূপে প্রসব করে মেয়েটির ভালোবাসা। দেহ মনের শিহরণ জাগিয়ে রাখে তাদের ভালোবাসা।চাপা পড়া ঘাসের মতই বিবর্ণ হয়ে যায় মেয়েটি মেয়েটি কিছু বুঝে উঠার আগেই সলিল জানিয়ে দেয় “তোমার জীবন ধরণ আমার মায়ের পছন্দ হয়নি। তাই মা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন।” মেয়েটির বুঝতে কষ্ট হয় না পছন্দ মায়ের না সলিলের। যুবতী হয়েও যৌবনায় আকর্ষিত করতে পারছে না সলিলকে। দেহের সৌন্দর্য হারালে যে মনের সৌন্দর্য খুঁজে পাবে না সলিল, তা কখনোই ভাবেনি মেয়েটি মেয়েটির করুণ আবেদন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সলিলের বউ বরণ উপভোগ করবে। উপভোগ করতে চায় সলিলের বাসরের তৃপ্তিটুকু।
ভালোবাসার হত্যা ভেবে অসহায় আক্রোশে ছটফট করে মেয়েটি। উন্নত চিন্তা ভাবনা আর মাথায় আসে না।নিজেকে ব্যর্থ না ভেবে ঘুরে দাঁড়ানোয় মনোনিবেশ করে। আগামী দিনের শিশু তার গর্ভেই বেড়ে উঠছে। মেয়েটি ফিরে যায় গর্ভের ভালোবাসা নিয়েনিজেকে ভাবতে থাকে সৈনিক হিসেবে।