কোনো বিপ্লব চাইনি। শুধু সামান্য বিদ্রোহ ঠেকাতে চেয়েছি জীবনে। এরকম ছোটোখাটো যুদ্ধ-টুদ্ধ করতে করতে নানান উঠোন পেরিয়ে কাদের জানি বাড়ির কাছে গিয়ে পড়ি।
জামরুল গাছের নিচে আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। হাত ধরে বললেন, চলেন বটতলায় যাই। তখন দুপুরবেলা। মেঘ ও রোদ পরস্পরের সাথে খেলা করছিল। আমরা ছায়া আর বৃষ্টির যুগপৎ সম্ভাবনা নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রইলাম।
একটা নার্সিং হোমে শুয়ে তোমাদের কথা ভাবি।পৃথিবীর সমস্ত পাখি কি মরে গেছে গতকাল পর্যন্ত? কেবল একাকী একটা সারস জানালার পাশের গাছে বসে। প্রত্যেক পাখির ডানার নিচে কয়েকটা হারিয়ে যাওয়া দিন লুকোনো থাকে। সেইসব মৃত পাখির সাথে মরে যায় সেইসব দিন। তারপর অন্যদের অসুখ হলে তারা নার্সিং হোমে যায়। বসে থাকে জানালার পাশে। শুশ্রূষা পাবার বদলে তারা একা হয়ে থাকে?
একটা নার্সিং হোমে শুয়ে তোমাদের কথা ভাবি। মনে হয় পৃথিবীর বুকে আর কোনো নার্সিং হোম নেই।
আমাদের ঘনিষ্টতার ফাঁক দিয়ে দূরত্ব উঁকি মেরে নেয়