মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি

মুগ্ধতা.কম

১৭ মার্চ, ২০২০ , ৬:৩২ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বর্তমান করোনা পরিস্থিতি

টাইটানিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে।

বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরন অসাধারণ পরিচালনা করেন পুরো সিনেমাটাই।

একাডেমিক অ্যাওয়ার্ডের ১৪ টি ক্যাটাগরির মধ্যে ১১ টাই লাভ করে এ মুভি। টাইটানিক সিনেমার শেষের খুব কাছের দৃশ্যে দেখা যায় জাহাজ ডুবছে। চারিদিকে আতংকের পরিবেশ। যে যেভাবে পারছে জীবন বাঁচানোর চেষ্টায়। শুধু দেখা গেল একদল মিউজিশিয়ান নিমগ্নভাবে করুণ সুর তুলে যাচ্ছে ইথারে। জাহাজের ক্যাপ্টেনও তার ডেকে দাঁড়িয়ে বিমর্ষমুখে।

এই ঘটনার প্যাচাল পাড়ার উদ্দেশ্য হলো আমাদের নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই ৭ ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মতো, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো। আমাদের এখন সময়, আমাদের নিজ-নিজ দায়িত্ব পালন করা। জ্বর হলে ঘরে থাকি। রোগ গোপন না করি।

সংবাদপত্রের সূত্রমতে ৯৪ হাজার লোক দেশে চলে এসেছে বিদেশ থেকে। তাদের মাঝে কেউ জ্বরাক্রান্ত হলে ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।

জনবহুল এ দেশে যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢাকা কেন্দ্রিক, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন হাবুডুবু খাচ্ছে করোনায় সেখানে আমাদের কিছু নেতা বলছেন বটে আমরা প্রস্তুত।

আমরা অনুরোধ জানাই, এখন কথার কথা না বলে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

সবাই ঘরে থাকলেও চিকিৎসক হিসেবে আমাদের বাইরে থাকতেই হবে।

স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ১৮ মার্চ থেকে। স্কুল বন্ধ হলেই শিশুরা ঘরে থাকবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই। তারা শিশুসুলভ আচরণ করবেই। দৃষ্টি রাখতে হবে তাদের উপর। তাছাড়া শুধু স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার দাবি যারা জানিয়েছিলেন তাদের কাউকেই কলকারখানা বন্ধ করার কথা বলতে শুনলাম না।

ঢাকা চট্টগ্রামের অসংখ্য কলখারখানার শ্রমিকেরা কী করে রক্ষা পাবে তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই।

হুজুগে বাঙালি যখন যেটা নিয়ে থাকে তো থাকে।

আমাদের অর্থনীতি অনেকটাই পরনির্ভরশীল সেটা আরও পরিস্কার হয়েছে পিঁয়াজ ইস্যুতে। ব্যবসায়ী ভাইয়েরা জিনিসপত্রের দাম যেন না বাড়াতে পারে সেজন্য শক্ত মনিটরিং করতে হবে। এরই মধ্যে মাস্কের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দুস্প্রাপ্য হয়ে গেছে। সামনের দুই সপ্তাহ আমাদের জন্য একটা এসিড টেষ্ট।

অনেককেই দেখলাম ফেসবুকে বলছে ঘরে থাকুন, কিন্তু এটা কি সম্ভব? আমাদের দেশের আশিভাগ লোক খেটে খাওয়া। যারা দিন আনে দিন খায়। অসুস্থ হলে তাদের কীভাবে চলবে এ বিষয়ে কেউ কিছু বলছে না।

যেহেতু করোনা ভাইরাসজনিত রোগ এবং মৃত্যুহার অনেক কম তাই আতংকিত হবার প্রয়োজন নেই। আবার ঢিলেঢালা ভাবে সবকিছু ছেড়ে দেবারও প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে বনের বাঘ না মনের বাঘই খায়। সাহস রাখুন মনে। সতর্ক থাকুন। ঘনঘন হাত ধুবেন। অসুস্থ ব্যক্তিকে এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোপরি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতেই হবে।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ তিনি হয়তো একথাই বলতেন।