আজ ঘরে ফিরতে মন চায় না, শুধু প্রতিধ্বনি হয় সেই মাথামুহুরীর কুলকুল। নূপুরের রুনুঝুনুতে ভেসে আসা সেই শুকনো পাতার দল। কাঠচোরদের মন খারাপ—স্রোতে ভাসে না আর সেই বাশ ঘাস কাঠের ভেলা। অথচ ভাপা পিঠার হাড়িতে আজও ধোয়া। সেই পিঠাওয়ালা, সেই ভাপার বাটি, সেই ন্যাকড়া, বসে থাকা বেঞ্চ সব কিছু ঠিকঠাক— শুধু তুমি নেই। ভেতর ভেতর কি যেন ছুটে চলা। তুমি কই? তুমি কই? ছটপট ছুটে আসা এই সেই কোকিলকূজিত বন। তোমার হাতে লাগানো সেই বাড়ির সেই টব কত ফুলরাশি—যদি থাকতে গুজিয়া দিতাম সেই বাসন্তীর খোঁপায়। তোমরা সকলে ভালো থেকো— বসন্তের সেই শিমুল ফুল কলাগাছের সতরে গাঁথা সেই টায়ারের ছুটে চলা—সেই নোলক নোলক খেলা। মনটা ভীষণ খারাপ—সেই দিন নাসিমাদের বাগানে ফুল ছিলো না বলে— কাগজের ফুলে ফুলেল শুভেচ্ছা। সবকিছু ধুয়ে মুছে তুমি ফিরে এসো আমার সেই বাসন্তী। তোমার বুকের তরতাজা সেই ফুল শীতশীত ঘাসে জুতো ছাড়া হেটে যাওয়া একুশের বুকে ফুল দেয়া— আমার সেই বাংলা ভাষা—আমি তোমাকে ভালবাসি। ‘মা মাটি ও দেশ’। ভালো থেকো। সেই আমার বসন্ত—মনের ভেতর এক কুহূ কুহূ ডাকা।