বাইরে তুমুল বৃষ্টি। বাবা এখনো বাসায় ফেরেননি। বাড়িওয়ালা দুইবার এসে ঘুরে গেছে। তিনমাসের ভাড়া এখনো বাকি। এদিকে ভাত নিয়ে অপেক্ষা করতে করতে মা-ও খেয়ে নিয়েছেন। অথচ বাবার ফেরার নাম নেই।
কয়েকদিন থেকে বাবাকে বিমর্ষ লাগছিলো। খাওয়া দাওয়াতেও বেশ অনিয়ম। সকালে অফিসে যাবার সময় মাকে বলছিলো, ‘নিশির মা,চাকুরিটা এবার থাকছে না বোধহয়…।’ কথা শেষ না হতেই মায়ের বিড়বিড় করে কান্না। ছোট বোনটাও মাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো। তিন বছরের বোনের কান্না সহ্য হলো না বাবার। গ্লাসের অর্ধেক পানি খেয়েই অফিসে চলে গেলেন।
মাগরিবের আজান দেবার সময় হয়েছে। মায়ের কথামতো ছাতা নিয়ে বাইরে বের হলাম। বৃষ্টি কমতে শুরু করেছে। ছাতাটা বন্ধ করতেই চোখে পড়লো রাস্তার পাশে একটা পাখি মরে পড়ে আছে।চোখদুটো তখনো খোলা ছিলো।
কী অদ্ভুত! অনেকটা বাবার মতো করে তাকিয়ে আছে পাখিটা।