দুটো ভেঙে যাওয়া মানুষ জোড়া লাগে-
কাছে রাখা অতীত ভুলে, এঁটে বসে শরীরে;
গন্ধ ভুলে যায়, বসন্ত ছিঁড়ে খায় মগজ-
বৈরী মন, খোলা চাবুকের ছেঁকা হয় ।
সমুদ্র স্নান, চোখে ভাসা রোদ্দুর শহর,
শয্যাশায়ী প্রাক্তন, বিছানায় রোজকার ক্লান্তি-
অসুখের বারান্দায় ঝুপড়ি খেলাঘর সব
মুখ বুজে সয়ে যাওয়া খেয়ালি বায়না।
কুড়ি বছরের জমে যাওয়া ভুতুড়ে শরীর-
মেঝে-করিডোরে খেলা করে সুখ উল্লাসে।
ছায়ানীড়ে ভরা যৌবন স্মৃতি, সাড়া দেয়;
ভিজে যায় দুটো ভেঙে যাওয়া মানুষ।
পুরনো সংসার, সাজানো বাগান বিলাস-
নিমিষেই, ঘুনে ধরা নিছক স্বপ্ন লাগে।
লিখে রাখা ডায়রির পাতা খসে পড়ে জানালায়-
ক্লান্ত পথিক খুঁজে নিয়েছে ঠিকানা।
অসুস্থ আহ্লাদী, নালা-নর্দমায় ভেসে যায়-
পানির কলে নতুন রিংটোন বাজে, মাঝ রাতে;
পাড়ার গলি-গতরে লাল-নীল বাতি জ্বলে
ভ্রমর জুটেছে-গো জোড়া শালিকের দলে।
কবির খেয়ালি খোরাক হয় ‘কবিতা’
না না সে কবিতার কথা বলিনি;
কেউ কবি হয়, কেউ ‘কবিতা’!
কখনও শরীর হইনি কারোর-
শরীরী উম্মাদনা লোভ দেখায় কবিতার,
অশরীরী কবিতার!
বেঁচে থাকা হয় ডিম-কুসুমের খোলসে
বেঁচে থাকাটাই কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কবি শরীরে খোয়া যেতে পারে না,
আলগা সুখ দুয়ারে কাঁটা হয়।
যা ছিল তা শরীরী ‘কবিতায়’ অস্ত যায়-
কবিও খোরাক হয় ‘কবিতার’।