মুগ্ধতা ব্লাড ব্যাংকে আপনার দেওয়া তথ্য বাঁচাতে পারে একটি জীবন। আপনার তথ্য দিন, প্রয়োজনে রক্ত খুঁজুন এখানে।

বায়জীদ বোস্তামী বাপ্পীর যুগল কবিতা

মুগ্ধতা.কম

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ , ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

জোড়া শালিক

দুটো ভেঙে যাওয়া মানুষ জোড়া লাগে-

কাছে রাখা অতীত ভুলে, এঁটে বসে শরীরে;

গন্ধ ভুলে যায়, বসন্ত ছিঁড়ে খায় মগজ-

বৈরী মন, খোলা চাবুকের ছেঁকা হয় ।

 

সমুদ্র স্নান, চোখে ভাসা রোদ্দুর শহর,

শয্যাশায়ী প্রাক্তন, বিছানায় রোজকার ক্লান্তি-

অসুখের বারান্দায় ঝুপড়ি খেলাঘর সব

মুখ বুজে সয়ে যাওয়া খেয়ালি বায়না।

 

কুড়ি বছরের জমে যাওয়া ভুতুড়ে শরীর-

মেঝে-করিডোরে খেলা করে সুখ উল্লাসে।

ছায়ানীড়ে ভরা যৌবন স্মৃতি, সাড়া দেয়;

ভিজে যায় দুটো ভেঙে যাওয়া মানুষ।

পুরনো সংসার, সাজানো বাগান বিলাস-

নিমিষেই, ঘুনে ধরা নিছক স্বপ্ন লাগে।

লিখে রাখা ডায়রির পাতা খসে পড়ে জানালায়-

ক্লান্ত পথিক খুঁজে নিয়েছে ঠিকানা।

 

অসুস্থ আহ্লাদী, নালা-নর্দমায় ভেসে যায়-

পানির কলে নতুন রিংটোন বাজে, মাঝ রাতে;

পাড়ার গলি-গতরে লাল-নীল বাতি জ্বলে

ভ্রমর জুটেছে-গো জোড়া শালিকের দলে।

কবিও খোরাক হয় কবিতার

কবির খেয়ালি খোরাক হয় ‘কবিতা’

না না সে কবিতার কথা বলিনি;

কেউ কবি হয়, কেউ ‘কবিতা’!

 

কখনও শরীর হইনি কারোর-

শরীরী উম্মাদনা লোভ দেখায় কবিতার,

অশরীরী কবিতার!

 

বেঁচে থাকা হয় ডিম-কুসুমের খোলসে

বেঁচে থাকাটাই কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কবি শরীরে খোয়া যেতে পারে না,

আলগা সুখ দুয়ারে কাঁটা হয়।

 

যা ছিল তা শরীরী ‘কবিতায়’ অস্ত যায়-

কবিও খোরাক হয় ‘কবিতার’।