একদিন দারুণ ঝলমলে রোদ্দুর ঝরা দিনে
স্যাঁতস্যাঁতে স্বপ্নগুলোকে শুকোতে দেব মাঠে।
রোদ গড়ালে শীতের কাঁথার মত
ভাঁজ করে এনে সযতনে
তুলে রাখবো আবার হৃদয়ের একান্ত তোড়ঙ্গে।
আপাতত প্রিয় স্বপ্নেরা
ভিজে যাও, ক্ষয়ে যাও আটপৌঢ়ে বস্ত্র যেমন।
প্রচণ্ড খরায় অপেক্ষমান বীজ- বুকের গভীরে মহীরুহের ঘুমন্ত ভ্রূণ- তুমুল বৃষ্টির মেঘ উড়ে গেছে কর্পোরেট বাষ্পের তোড়ে, রাতপাখী জেগে থাকে জমাট
অন্ধকারে হিজলের ডালে।
নদীর তীরে যে শ্মশান মরে গেছে প্রায়,
নদীই মরে গিয়ে বিন্নার ঝাড়ে বুঁজে গেছে ঘাট
কাশেরা বিলীন-শরতের শেষ রাতে পাতলা কুয়াশার গৈরিক চাদরে…
মরা নদীর ওই পাড়ে ঘোলাচাঁদ ভেসে ওঠে চরে..
তবু অপেক্ষমান বীজ-
বুকের গভীরে মহীরুহের ঘুমন্ত ভ্রূণ…
এইটুকু ভালোলাগা বেঁচে থাক শালিখের ছানাটির মত
এইটুকু ভালোবাসায় থাক ঘিরে প্রিয়তর এই আঙিনা
জীবন-সরোবরে থাক ফুটে প্রিয় পদ্মকুসুমেরা যত
দুঃখ-সুখ,বেদনারা বারোমাস বাজিয়ে যাক জীবনবীণা।
আমাদের সময়গুলো কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়?
আমাদের দিনগুলো কোন ব্লাকহোলে সেঁধিয়ে যায় প্রতিদিন?
বালুঘড়ির মত আমাদের জীবন কেবল ঝরেঝরে পড়ে নিচে-
চিরকাল আমাদের সময় ব্লাকহোলের ভেতর
চিরকাল আমাদের জীবন বালুঘড়ির পতিত বালকারাশি-
পদচিহ্ন গুণে দেখি, কতদূর এলাম হেঁটে একা
কত জনপদ পিছে ফেলে এই যে বরেন্দ্র নগরের
জীবনের পথে আমাদের কতরূপে কতবার দেখা
কতকাল গ্যাছে ভেসে স্রোতে- আমাদের জীবনের,
তবুও আমরা গাই নবতর জীবন ও সময়ের গান
আমাদের গল্প এই হেঁটে আসা পথের সমান।
রাত শেষে নতুন সূর্যালোকে আমরা পথে নামি
জীবনের গানগাই, স্বপ্নবীজ বুনে যাই- তুমি আর আমি।