(পর্ব-৬)
আবার ওই বাবা-মা’র দিকে তাকিয়েই অনেকেই দিব্যি জোড়াতালি দিয়ে সংসার চালিয়ে যায়। তবু মনে মনে সব মেয়েই একটু বল পায় ওদের কথা ভেবে। কোথাও কোন দাঁড়াবার জায়গা না থাক বাপের বাড়ি তো আছে। সেখানে সান্তনা আছে, নিখাদ সমবেদনা আছে।
রাত্রি জানে এত সবের পরও যদি ও গিয়ে দাঁড়ায়, দুঃখ পাবে ওরা ঠিকই, তবে ভরসাও দেবে। মা সেই তেমন করেই বুজে জড়িয়ে ধরবে ছলছল চোখে, বিয়ের পর ঠিক যেভাবে বিদায় দিতে গিয়ে কেঁদে উঠে জড়িয়ে ধরেছিল। তাই সবকিছু ভাবার পরও রাত্রি গিয়ে উঠেছিল বাবা-মা’র কাছে।
বাবা একটু আধটু অভিযোগ শোনার পর বলল, দেখ রাত্রি, সব বিয়েই এরকমই। মানিয়ে নিতে হয়।
যেন রাত্রি মানিয়ে নেবার চেষ্টা করেনি।
মা’ও কাছে বসিয়ে স্তোক দেবার মত করে বললেন, প্রথম প্রথম এ রকম হয়, একটু বাচ্চাকাচ্চা হলেই দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে।
বাবা-মা’র কথা শুনতে শুনতেই দেখলো শ্রাবণ আসছে। শ্রাবণকে আসতে দেখেই মনে মনে খুশি হয়েছিল রাত্রি, কিন্তু মুখে তা প্রকাশ করল না। ওর আশঙ্কা ছিল শ্রাবণ হয়ত ওর খোঁজ নিতে আসবে না। তাই দূর থেকে শ্রাবণের বিব্রত মুখটা দেখে ভেতরে ভেতরে খুশি হল। কিন্তু লজ্জা আর সংকোচ ওকে তখন গ্রাস করে ফেলেছে।
শ্রাবণ বেশ রাগত স্বরেই বলল, একটা কান্ড যে করে বসো।
ব্যাস।
যেন কোথাও কিছু ঘটেনি, যেমন ছিল তেমনি আছে। আসলে শ্রাবণের মুখ বিব্রত বাবটা অন্য কারণে। কোথাও কিছু নেই। হঠাৎ অফিসে বসে কাজ করতে করতে রাত্রির ফোন পেয়ে ও বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিল। ফেরার পথে বলেছিল, কী যে করে সবো, আমার অফিসে একটা প্রেস্টিজ আছে না। কলিগদের কানে গেলে কী বলবে।
চাপা রাগ আসলে অন্য কারণে। স্ত্রী ফোন করে বলেছে আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি, কোথায় তাও জানাচ্ছে না, আশেপাশে অন্যরা শুনতে পাবে বলে নরম নরম তোষামুদে ভাষায় তার মানভঞ্জন করার উপায় নেই। তাই শ্রাবণকে নির্বিকারভাবে বলতে হয়েছে, বাড়ি ফিরে যাও, গিয়ে শুনব। এছাড়া আর কিইবা বলতে পাতো।
বাবা-মা’র কাছে লজ্জার মাথা খেয়ে আসতে হয়েছে, সেখানেও সেই একই উপদেশ মানিয়ে নে; মানিয়ে নে। সেই অসহায়তার মধ্যে নিরূপায় হয়েই ওকে ফিরে যাবার কথা ভাবতে হয়েছে। কিন্তু শ্রাবণের কথাটা শুনেই তিক্ততায় মনটা ভরে গেল। বুঝতে পারল ও চলে এসেছে বলে শ্রাবণের মনে বিব্রত ভাব ফোটেনি। বিব্রত হয়েছে ওর চারপাশের লোকদের কাছে পরিচ্ছন্ন ইমেজটা নষ্ট হবে এই ভয়ে।
রাত্রির কোনও মূল্য নেই ওর কাছে। থাকলেও তা একটা অংশের মত। মানুষটাকে অধিকার করে আছে অনেকে, একা রাত্রির জন্য যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা শুধু একটা অংশ। অথচ রাত্রি চেয়েছে গোটা মানুষটাকেই। পেয়েছে শুধু রাতের বিছানা।
মা বলেছিল সব ঠিক হয়ে যাবে, যায়নি। কোন সম্পর্কই গোটা মানুষটাকে পায় না। অথচ সম্পর্ক যাই হোক সকলেই সেই সম্পর্কের জোরে পুরো মানুষটাকে গ্রহণ করতে চায়। এর চেয়ে বড় বিড়মন্বনা মানুষের জীবনে আর কি আছে।
এতসব চিন্তার মাঝে রাতুল এসে দাঁড়িয়েছে মুখের সামনে। মা মণি আমরা নানুবাসা কবে যাচ্ছি?
– কাল বাবা।
– তোমার কালটা কবে আসবে?
– তুমি জানো নিলয়, তুমি না গেলে আমিও যাবো না।
– আব্বু তুমিও চল না।
– আচ্ছা, আমরা কালই রওনা দিব, তবে একটা শর্তে।
– কিসের শর্ত?
– তোমাকে নামিয়ে দিয়ে, আমি চলে আসবো …
রাত্রি আর রাতুল দুজনেই চুপ।
চৌকাঠ ডিঙিয়ে এ বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রাত্রি এখন ফুটকি। চার দেয়ালের ঘর নয়, ওর মনে হচ্ছে যেন একটা ছোট্ট সুন্দর দ্বীপে এসে পৌঁছেছে। চোখ শুধু সবুজ দেখছে, চোখ সমুদ্র দেখছে, সমুদ্রের ঢেউ। কোথাও কোন দেয়াল নেই, শুধু ঝড়ো বাতাসের স্পর্শ। সেখানে শুধু গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছা করে।
অনর্গল কথা বলে চলছে ও, আর হাতের কাজ সারতে সারতে মা হাসি হাসি মুখে শুনছে। যেন কত কালের কথা জমা হয়ে আছে। যেন কতকাল কথা বলতে পারেনি। মা এক ফাঁকে বললেন, যা তুই গোসল করে নে, রাতুলকে আমি গোসল করিয়ে দিচ্ছি।
– হবে, হবে।
অর্থাৎ গোসল, খাওয়ার জন্য তাড়া নেই। ফুটকি বলল, আমি তো ওসব ওখানেই সেরে আসতে পারতাম, কিন্তু তা হল আধাবেলা ছুটি কমে যেত। আসতে আসতে দুটো তিনটে বেজে যেত। সেজন্যই শ্বশুরকে দিয়ে ফোন করানো, এসে খাবো।
নিলয় বাইরে যাবার পরও দুটো দিন কাটিয়ে আসতে হয়েছে, সেটুকুতেই অধৈর্য হয়ে উঠেছিল। তবু চক্ষুলজ্জা। সেই আগে মেযন কোথাও বেড়াতে যাবার কথা থাকলেও বলে উঠতে পারতো না শাশুড়িকে। নিশি তো বলেই বসলো, কেন এতদিন যেতে পারেনি, ভাইয়া যখন ছিল। ভাইয়া যেই গেল, অমনি বাপোর বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। তাই না?
কথাটায় বেশ একটা ইঙ্গিত আছে।
বিয়ে হয়ীন বলেই বিয়ে সম্পর্কে ওর মনে একটা স্বপ্ন আছে। কল্পনায় কি দেখে কে জানে। হয়তো বিয়েল আগে রাত্রিও স্বপ্ন দেখতো। দেখতোই তো। কিন্তু… নিশি ঠিক কি বলতে চেয়েছিল? নিলয়কে ছেড়ে রাত্রি এক মাহূর্ত থাকেত পারে না, নাকি ও থাকলে বাপের বাড়ির কথা ভুলেই থাকে? অথবা বলতে চাইলো নিলয় না থাকলে ওদের বাড়িটাই ওদের কাছে দুঃসহ? নিশিকে তাই ভাল লাগে না আজকাল। একটা কথাও সোজাভাবে বলে না।
মেয়েটা তো প্রেমফ্রেম করে কারো সাথে পালিয়ে গেলেই পারে। বিয়ে যখন হচ্ছেই না, তার নিজের পরিণতির কথা চিন্তা করেই হয়ত কথাটা বলল। দেখে তো মনে হয় এক সময় বেশ সুশ্রী ছিল, হয়ত সুন্দরীই।
প্রেম করে কাউকে বিয়ে করলেও বাড়িতে কি আপত্তি করত। কই তার সময় তো কোন রকম আপত্তি ওঠেনি। মেয়ের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল জানার পরও তারা তাকে এ বাড়ির বউ করে এনেছিল। নিশির কথা টেনে এনে আবার কথা শুরু করেছিল রাত্রি।
মা বলল, তুই যা বাবা, গোসল করে খেয়ে নে, পরে শুনবো। রাত্রি একটু অসন্তুষ্ট হল। ভেতরে একটা চাপা ক্ষোভও যেন গুমড়ে উঠলো। ও কি খেতে এসেছে নাকি এখানে। ও তো অনেক কথা নিয়ে এসেছে উজাড় করে দেবার জন্য। কতদিনের জমা হওয়া কথা। তার মধ্যে হাসিও আছে, আনন্দও আছে, আবার কান্নাও আছে। সব কথা অবশ্য বলবে না, বলা যায় না। তবু হাল্কা হওয়া তো যায়।
কিন্তু এ বাড়ির কথা শুনলেই নিলয় কেমন যেন করত। কখনো রাগত না। কিন্তু এবার রেগে গিয়েছিল। রেগে গিয়ে বলেছিল- ঐ ভাঙাবাড়িটায় কি আছে কি? রেগে ছিল বলেই বলেছিল। অথচ রাগ তো নিয়ে এসেছিল অফিস থেকে। ওকি করে জানবে!
ওর বুকের মধ্যে ক’দিন ধরেই এ বাড়িতে আসার ইচ্ছা হচ্ছিল। বাবা-মা’কে দেখার কিংবা দু’চারদিন এসে থাকার। এক এক সময় সে হাপিয়ে ওঠে। বেশ কয়েকদিন ইচ্ছেটা চেপে রেখে শেষে একদিন বলেই ফেললো- এই শোনো, আমি ভাবছি দু’দিন ও বাড়িতে থেকে আসবো। তার উত্তরে ঐ কথা। রাত্রি মেনে নিচ্ছে কিছু একটা ঘটেছিল অফিসে। রেগে ছিল, হয়ত নিজের ওপরই।
কিন্তু কথা একবার বলে ফেললে তো আর ফেরানো যায় না। যত আদর করে ভোলাবার চেষ্টা করো, স্লেটের দাগ নয় ভিজে কাপড় বুলিয়ে মুছে দেবে। মেয়েদের কেন যে টাকা হয় না। ওরা করতে দেবে না, দিলে চাকরি করত রাত্রি। কিন্তু তাতেই বা ক’টাকা হবে। সত্যি সত্যি যদি কোনদিন ওর অনেক টাকা হয়ে যেত, এই বাড়িটাকে একেবারে বদলে দিত ও। ভেঙে ফেলে একেবারে নতুন না করে ফেলুক, ভেঙে করে সারিয়ে সুরিয়ে এমন করে দিত যে দেখে নতুন মনে হত। বারান্দা সিড়ি সব ঝকঝকে তকতকে। ঘরের লাল সিমেন্ট তুলে ফেলে টাইলস বসানো।
শ্বশুর বাড়িতে যখন মাঝে মাঝে খুব নিঃসঙ্গ লাগে, ভেতরটা কেমন কেমন গুমড়ে ওঠে। কিছু করার না থাকলে, রাতুল হয়ত ঘুমচ্ছে, রাত্রি বিছানায় শুয়ে শুয়ে এখানে চলে আসে। বাপের বাড়িতে, আর টুকরো টুকরো ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে।
এখন আমাদের সব চাই। রাত্রি শুধু হাসল। মনে মনে ভাবলো, বাবা সেই একই রকম আছে। কোন স্বপ্ন নেই, উচ্চাশা নেই, বাঁচার মত করে বাঁচার ইচ্ছেও নেই। চলে গেলেই সন্তুষ্ট, জীবন যেন শুধু চলে যাওয়া। অথচ তার মধ্যেই কী এক তৃপ্তি। রাতুলের স্কুলের সামনে বসে যাদের সঙ্গে গল্পগুজব করে তাদের অনেকের তো অনেক কিছু আছে। বাড়ি-গাড়ি, কতসব দামী দামী শাড়ি পরে আসে। কিন্তু অতৃপ্তি যায় না। দু’দশ মিনিট আড্ডা দিলেই সব বেরিয়ে আসে। রাত্রি নিজেও বুঝতে পারে না ও সুখী না অসুখী। ওদের সময়টাই বোধহয় অন্যরকম।
শ্বশুর বাড়িটাও যেন এই দু’সপ্তাহে টিভির মতই হয়ে গিয়েছিল। শব্দ আছে, কথা কানে যাচ্ছে না, ছবি আছে চোখ দেখছে না। তেমনই। শুধু আছে এটুকুই মনে আছে। ফাঁকে ফাঁকে নিলয়ের কথা হয়ত মনে পড়ছে, মনে পড়ছে না। একেবারে অন্য জগতে চলে গিয়েছিল রাত্রি। নিশির ডাকেই সম্বিত ফিরে পেল।
– নিশি! কথা আছে।
রাত্রি চোখের ইশারায় সিড়ির দিকে ইঙ্গিত করল। নিশি সপ্রশ্ন চোখে তাকাল রাত্রির দিকে, তারপর ঈষৎ ঘাড় কাত করে সম্মতি জানালো। অর্থাৎ অভিযোগ, রাগ আছে, ক্ষোভ আছে, বিরক্তি আছে। আবার প্রয়োজনে কখনো কখনো দু’জনে অন্তরঙ্গ বন্ধু। একান্ত সঙ্গী। পরামর্শ দিতে হলে, সান্তনা দিতে হলে ওরা একাত্ম হয়ে যায়। অথচ তখনই আবার তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে রাগ কিংবা অভিমান।
গোপন হাসাহাসির কথা থাকলে, কিংবা লুকোনো শলাপরামর্শের জন্য ঐ একটাই জায়গা। ছাদে ওঠার সিড়ির একেবারে শেষ ধাপ। বসে গল্প করার জন্য ডাকেনি রাত্রি। শুধু একটা প্রশ্ন। নিশি বলবে কিনা জানে না। একবার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হল। যদি জানা যায়।
সিড়ির শেষ ধাপ অবধি যেতে হল না, মাঝ পথেই দাঁড়িয়ে পড়ল রাত্রি।
– নিশি, কি হয়েছে বলতো? বাবা-মা’র মুখ কেমন থমথমে।
– বিশ্বাস করো ভাবি, কিছু জানি না। তবে একটা কথা শুনেছি- বাবা-মা কি সব বলাবলি করছিল, আমি ঢুকতেই থেমে গেল। শুধু একটা কথা কানে এসেছিল। বাবা মা’কে বলল, রাত্রিকে এখন কিছু বলো না।
এখন বুঝতে পারল কেন বাবা সেদিন ফেরার সময় বলেছিল একটা দুঃসংবাদ আছে। পরক্ষণেই মেয়ে যেন কষ্ট না পায় তাই তাড়াতাড়ি কথা ঘুরিয়ে নিয়েছিল, হাসতে হাসতে বলেছিল, বেয়াই ফোন করেছিল। একটু থেমে বিরক্তভাবে বললেন, নিলয় পরশু ফিরছে। কালই ওকে যেতে বললেন। রাত্রি তার পরদিনই ফিরে এসেছিল; কিন্তু নিলয়, তাহলে কি?
রাত্রিকে রেখে যেতে এসেছিল ওর বাবা। পৌঁছতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। শ্বশুর হৈহৈ করে উঠলেন, বেয়াই এসেছেন, বেয়াই। শাশুড়িও ছুটে এসেছিলেন সঙ্গে নিশিও।
বাবা চলে যাওয়ার পর রাত্রি ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল ঘর গোছাতে। মাত্র পনেরো দিন ছিল না, এরই মধ্যে ঘরখানা দেখে মনে হয় যেন পনেরো মাস ছিল না। ধুলো জমেছে আসবাবপত্রে, জানারায়, দরজায়। মেঝে পরিষ্কার হয়নি কতদিন।
পরদিন খুব ভোরবেলাতে ঘুম ভাঙলো রাত্রির। ভোরবেলাতেই ঘুম ভাঙে। তবু দরজা খুলে রেখেছিল, খিল দেয়নি। কি জানি কখন ফিরবে, যদি ঘুমিয়ে পড়ে, দরজায় টোকা দিলেও শুনতে পায় না রাত্রি। সে এক বিশ্রী কান্ড। তাই রাত্রি জেগেই ছিল, আর স্বামীর জন্য জেগে থাকাই বউদের কর্তব্য।
বরং খিল খোলা থাকলে নিলয় এসে ওকে ডেকে তুলতে পারবে, কিংবা গায়ে হাত দিয়ে। এরা কেউ জানতে পারবে না রাত্রি জেগে ছিল, না ঘুমিয়ে ছিল। বিয়ের পর নিলয়কে ছেড়ে কখনও থাকেনি। দুয়েকবার যা থেকেছে সে এ বাড়িতে নয়, বাবা-মা’র কাছে গিয়েছিল বলে। এই প্রথম এ বাড়িতে। দুটো সপ্তাহ ছিল না নিলয়। না থাকলে আদর বারে। মিনা আর ইরা বলেছিল।
মিনা চোখ টিপে ইঙ্গিত করে বলেছিল- দেখিস, দেখিস, ফিরে এলে কি করে। হেসে ফেলেছিল সবাই।
মিনার স্বামীর বেশ ভাল চাকরি, কি চাকরি ঠিক জানে না রাত্রি। তবে মাঝেমধ্যে দুয়েক সপ্তাহ বাইরে যায়। ঐটুকুই ওর ঈর্ষা ছিল। বেশ মজা। রাত্রির ওরকম হলে বাপের বাড়ি যাওয়া কত সুবিধা হত।
ইরা ঠাট্টা করল মিনাকে, তাই বল, মাঝে মাঝে তাই এত খুশি খুশি দেখায় তোকে। শুনে শুনে রাত্রিরও একটু ইচ্ছে হয়েছিল স্বপ্ন দেখার। দরজার খিল খুলে রেখেছিল সে কারণে, নিলয় আসবে, এসে নিঃশব্দে রাত্রির ঘুমন্ত শরীরের পাশে বসবে, কাঁধে কিংবা গানে হাত ঠেকিয়ে ডাকবে ফিসফিস করে।
– দেখিস, দেখিস ফিরে এলে কি করে?
(চলমান…)