আমার নীলের ভেতরে তোমার নীলচোখ ঝিলমিল,
তোমার চোখের ভেতরে জল ছলছল দৃষ্টি বিলাপ!
আমি তাকাই আর তুমি বনভূমি পেরিয়ে ছাড়িয়ে যাও
নদীর ধারে, ঢেউয়ের দোলায় দুলতে থাকো অবিরাম…
আমি ঢেউ গুনেগুনে দোলায় দুলি প্রহরের পর প্রহর!
একটা বিলাপ ছবি আঁকে নিশীথের নিঃসীম অন্ধকারে।
একটা কল্প গল্প করতে থাকে আঁধারে তাহারো সনে!
আমি বইয়ের পাতার মলাট ছিঁড়ে ভেতরে প্রবেশ করি,
শব্দগুলো অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দেয় নির্দ্বিধায়…
আর, এদিকে পুতুলের শরীরজুড়ে উষ্ণীষ প্রলাপ ঝ’রে!
পুতুলের বিয়ে হয়ে যায়, খেলাঘর ছেড়ে দেয় খেলা।
দানের প্রতিদানে আজতক চলছেই তবুও পুতুলখেলা!
পৃথিবীকে বললাম চল্ না একটু ঘুরে বেড়াই।
কতদিন ঘুরিনা পথে পথে, ঝিলের ধারে ধারে কিংবা
ঐ নীল আকাশের নীচে দিগন্ত রেখা বরাবর….
প্রতিউত্তরে সে আমাকে বললো- তার নাকি এখন একদম টাইম নাই, বড্ড ঝামেলায় আছে সে!
আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম- কী এমন ঝামেলা হলো যে, তুই এক্কেবারে পথ এঁটে বসে আছিসরে?
প্রতিউত্তরে সে আমাকে বললো- আর বলিস না আমার বুকজুড়ে এখন ভয়ংকর থাবা পেখম মেলেছে, নৃত্য করছে নিশিদিন, বড় যন্ত্রণায় আছিরে!
আমি বললাম- হ্যাঁ, বিষয়টা শুনেছি আমরাও।
আমরাও ভাবছি এবং আরোও ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করছি, দেখিনা কি হয়…
সে বললো- তোরা ভাবতেই থাক আর বুঝতেই থাক! যেদিন আমার খোলস ছাড়িয়ে পৃথিবী হারিয়ে যাবে সেদিন আমি কাঁদবো, কাঁদতেই থাকবো আর
তোরা হয়তো সেদিনও আমাকে ভাবতে ভাবতে বেচতে বেচতে আবারও নতুন কোন খেলায় মত্ত হবি!
আমি আবারও কাঁদবো! তখন আমার কান্নাগুলোও তোরা বেচবি, বেচতেই থাকবি! তোরা আসলে কি-রে? তোরা কি মানুষ, নাকি অন্যকিছু…
আমি কোন প্রতিউত্তর করতে পারিনি, পারলাম না…
কেন আমি কোন উত্তর দিতে পারিনি প্রিয়?
এসো লেপ্টে যাই আমি তুমি।
দেখো লেপ্টে আছে মাটি ভূমি
চায়ের কাপে চিনি দুধ ও-
আটার সাথে লবন পানি।
ঘুরছে দেখো তেলের ঘানি,
আকাশ বাতাস ডাকছে গো
আজ, ঝরছে সুরের বাণী।
বাণীর মাঝে সুরের তানি
গাইছে গান ফুলের রানী,
ঐ ছন্দে গন্ধে সুর ও বাণী…