দিকভ্রান্ত প্রেমীর পথে বর্ষাকাল যেন
বিরহকাল হয়ে ফিরে আসে। তখন
কাকভেজা জানালার কপাটে আঘাত করে
দীর্ঘশ্বাসের ঘূর্ণি, না বলা কথাদের বারুদ!
জীবন—টপকাতে পারে না কপাল লিখন
এসব খবর কে জানে, কোন হৃদহাওয়াবিদ?
সবকিছু ছেড়েছুড়ে পাহাড়ে যাই
বনদেবীর সবুজে
মেঘ ছুঁই—স্মৃতির খড়কুটো সব ভেসে ভেসে যায়…
কূল ভাঙা দরিয়ায় ডুবসাঁতার খেলে বকের পালক
বরফকুচির মতো টুকরো টুকরো
হয়ে যাওয়া একজোড়া শাদা চোখ।
হে প্রিয় কদমফুল, সেই সময়
নিঃশ্বাসের আদ্রতা মাপতে এসো না
দ্রোহেরা তো পথে পথে শিরদাঁড়া খাড়া করে
বসে থাকে। প্রেমহীন জীবন
তবু মাপতে এসো না বিপ্লবীর জ্বর
ছেলেমানুষী ছাড়ো
নয়তো পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে বিরহানলে!
মূলত মানুষ বিরহে বিপ্লবী প্রেমিক হয়ে ওঠে।
তোমার মুখাবয়ব দর্শনে ধ্যানমগ্ন এ হৃদয়
নিজের দুচোখ বন্ধ করে দেখি,
তোমার দুচোখ যেন স্বর্গের দরিয়া
কে যেন বলছে, ‘ভাসাও প্রণয়-তরী’
সাঁতার দেয়া মানা—তাই একদিন ডুবে যাই
ডুবে ডুবে ভেসে উঠি, ফিরে আসি আপনায়…
তুমি লাল শাড়ি পরে বসে থাকো টাচস্ক্রীনে
দূরে কোথাও দোয়েল ডাকে
ভোর হয়। আবছা আবছা
তোমার মুখাবয়বে বাংলার জল এবং মাটি…
চোখের পায়চারি বাড়ে সবুজ আলোয়
ইলেকট্রিক ডিভাইসে ভেসে ভেসে আসে
তোমার কন্ঠস্বর, আবৃত্তি করছ আমায়
তুমি লাল শাড়ি পরে বসেই থাকো টাচস্ক্রীনে
জবা ফুল। হে প্রিয়তমা
হৃদয়েশ্বরী—
একদিন এসে দেখে যেয়ো, কার ধ্যানে
মগ্ন থেকে বৃদ্ধ হয়ে উঠছে ভাঙাচোরা এ হৃদয়!