প্রিয়জনদের মৃত্যুর কারণ হতে যাচ্ছেন না তো? শুনতে খারাপ লাগলেও গুরুত্ব দিন।
আপনি আপনার শরীরে ভাইরাস বহন করছেন কিংবা করছেন না। যদি সত্যিই বহন করে থাকেন, তাহলে একটু অসতর্কতা আপনার পরিবারে নিয়ে আসতে পারে মহাবিপর্যয়। কাছের মানুষদের ভালো রাখতে নিম্নোক্ত সতর্কতাসমূহ অবলম্বন করুন।
● প্রয়োজনের বেশিকিছু সঙ্গে বহন করা থেকে বিরত থাকুন। অনিবার্য প্রয়োজন ব্যতীত বাসার মানুষদের জন্য কোনো খাবারও না।
● বাসার কলিংবেল ব্যবহার কিংবা দরজায় নক না করে প্রয়োজনে ফোনে কাউকে ডাকুন।
● করমর্দন, আলিঙ্গন কিংবা বাচ্চাদের কোলে নেয়া ও চুমু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
● বাসায় ঢুকেই কারো মুখোমুখি অবস্থায় জোরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
● যে অবস্থায় বাসায় ঢুকেছেন, সেই অবস্থায় সরাসরি ওয়াশরুমে ঢুকে যান। সঙ্গে যা আছে, সবসহ।
● ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। ব্যাগ খালি করুন। ব্যাগটি ডিটারজেন্ট দিয়ে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন এবং নিজে সাবান দিয়ে ভালোভাবে গোসল করে পরিষ্কার জামা পরে নিন।
● নিজের ফোন, ল্যাপটপ দ্বিতীয় কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
● নিজের তোয়ালে, চিরুনি, টুথপেস্ট, পানি পানের মগ দ্বিতীয় কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
● প্রয়োজন ব্যতীত রুমের বাইরে যাওয়া, একসাথে আড্ডা দেয়া কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত পরবর্তী ১৪ দিন একেবারেই বাসার বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
● টাকা লেনদেনের পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যাক্সিসল ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। যতটা সম্ভব মোবাইলে টাকা লেনদেনের চেষ্টা করুন।
● প্রয়োজন ছাড়াও ৩-৪ ঘণ্টা পরপর হাত ধুয়ে নিন এবং পানি পান করুন।
● যতটা সম্ভব গরম পানির ব্যবহার বাড়িয়ে দিন।
● কল চালু কিংবা বন্ধের ক্ষেত্রে সম্ভব হলে কনুই ব্যবহার করুন।
● পরিষ্কার পতনশীল পানিতে প্রথমে হাত ভিজিয়ে নিন।
● সাবানের সাহায্যে হাতে-আঙুলে ফ্যানা তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, ফ্যানা যেন হাতের পেছন দিক, আঙুলের ফাঁক ও নখের নীচ পর্যন্ত পৌঁছয়।
● অন্তত ২০ সেকেন্ড দুটো হাত ঘষুন।
● হাত ঘষা শেষ হলে আবারো পরিষ্কার পতনশীল পানিতে হাত ধুয়ে ফেলুন।
● ব্যক্তিগত তোয়ালে ব্যবহার করে মুছে ফেলুন। মনে রাখবেন, আপনার সামান্য অসতর্কতা প্রিয় কারোও জীবনের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে। সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন। নিজে ভালো থাকুন, সবাইকে ভালো রাখুন।
শিস খন্দকার : তরুণ কবি, রংপুর।