মাঝরাতে জেগে উঠেছে আধখানা চাঁদ
অবাধ বিষ্ময়ে তুমি জেগে আছো নয়নে আমার
ঘুম হরণ করে নিয়ে গুম হয়ে গ্যাছে সময়।
সন্ধ্যামালতীর ঘ্রাণ এসে ঘুরে বেড়ালে ঘরময়
তোমারই অস্তিত্ব খুঁজি ছায়ায়-মায়ায়, কায়ায়…
আমার মাঝে থেকেও, কিভাবে ভুলে থাকো আমায়?
পল্লবে পল্লবে ঝিলিক ফেলে
প্রণয়ে মেতেছে জোছনা, সে কথা কি বোঝ না?
তোমার-আমার ক্ষণিক ভুলে
ভুল হয়ে বাঁচে গাছে গাছে প্রেমফুল, সে তো নয় অজানা।
রাতের পায়ে নূপুর পরিয়ে
তুমুল নেচে যায় বৃষ্টির দল, নাচিয়ে দিয়ে আমার অসল ভাবনা।
দেয়াল ঘরিটা টিকটক বেজে চলেছে ক্রমে
রাত্রি বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের সম্ভাবনা কমে।
তারার তরী বেয়ে পাড়ি দিতে গিয়ে আকাশ নদী
মেঘের ঢেউয়ে ডুবে অতলে হারিয়ে যাই যদি
খুঁজবে কি আমায় অন্তর গহীনে, কোন নিশিথে
শিশির পড়ার শব্দে অলিন্দ নিলয় আন্দোলিত হলে?
ল্যাম্পপোস্টটা রোজ দাঁড়িয়ে থাকে তোমার অপেক্ষায়
বাকী সব যে ডুবে থাকে যে যার ব্যস্ততায়, অভ্যস্ততায়।
ভুলে যাওয়া অভ্যাসের মতো আমিও ভুলে গ্যাছি তোমায়
কিংবা তলানী হয়ে পড়ে আছো ক্লান্ত মনের কোথাও
এখন আর উছলে ওঠে না চক্ষু নদীর জল কারো অবহেলে
উদাস হাওয়ায় দিন কেটে যায় দিনের মতো খানিক এলেবেলে।
স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা ভিজিয়ে দিয়েছে বালিশ
মন ভাঙ্গার অপরাধে কার কাছে দেবো নালিশ?
চার দেয়াল আমার দয়াল রূপে, মুর্শিদ রূপে
আশিষ করে নিরব স্বরে, শূন্যতায় ভরা শূন্য ঘরে
নিশ্বাসের চেয়ে দীর্ঘশ্বাসের আগাগোনা বেশি এই বসতি জুড়ে
চোখের জলে দহন কমাতে পারেনা, একান্তে যখন মন পোড়ে।
জানালার এপাশ ওপাশ মিলে ফিসফাস
আলাপ করে রাতভর
কে রাখে কার মনের খবর?
স্মৃতির কবরে ফুল ফোটে চোখের বরষায়।
কাজলের ছলে মেখে দিলে কলঙ্ক-কালি!
ভরসার আরশিটা ভেঁঙ্গে
শুধরানোর অধিকার নিলে কেড়ে
তাই বিচারের ভার পেলো পড়শি।